
আশাশুনি প্রতিবেদক: দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রালয়ের উপ-সচিব (প্রশাসন) শায়লা ইয়াসমিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে দূর্যোগ থাকবে। তাই বলে দূর্যোগকে প্রতিহত করা যাবেনা, বরং চেষ্টা করলে আমরা প্রশোমন করতে পারি। আগের দিনে দূর্যোগে অসাবধানতার কারনে উপ-কুলীয় অঞ্চলে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হতো বা হয়েছে। এখন সরকার সিপিপি নামক স্বেচ্ছাসেবক বা প্রয়োজনীয় পূর্বাভাসের ব্যবস্থা করায় ক্ষতি পরিমান অনেকাংশে কম হয়েছে। এমনকি অনেক প্রত্যান্ত অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির তেমন লেশ পড়েনা। এজন্য আমাদের স্ব-স্ব স্থানে থেকে মানুষের সচেতনতা মূলক কার্যক্রম হাতে নিতে হবে ও সাবধান হতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে আশাশুনি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি)’র আয়োজনে সিপিপি নারী স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে সাংকেতিক যন্ত্রপাতি বিতরনকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপ-সচিব এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, দেশের দুর্যোগ প্রবন এলাকায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা আজ নারী ও পুরুষ সমান সমান। সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের ভাতার আওতায় আনার চিন্তা ভাবনা চলছিল কিন্তু সে ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবক নামটি উঠে যায়। সেজন্য প্রত্যেক সিপিপিদের অন্যান্য সুবিধা বাড়িয়ে দেয়ার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি আশাশুনিতে নারীরা স্বেচ্ছায় এগিয়ে সিপিপি’র হয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করার জন্য ভূয়ষি প্রসংশা করেন।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রানালয়ের সহযোগীতায় সাংকেতিক যন্ত্রপাতি বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. নাজমুল হুসেইন খাঁন। সিপিপি উপজেলা লিডার আব্দুল জলিলের উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খাঁন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি এস.এম আহসান হাবিব, শ্রীউলা সিপিপি লিডার আবুল হাসান প্রমূখ। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সিপিপি নারী স্বেচ্ছাসেবকদেও মাঝে দুর্যোগে ব্যবহৃত সাংকেতিক যন্ত্রপাতি বিতরণ করেন।