নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহরের মেহেদিবাগ এলাকার একাধিক মামলার আসামী ও চরিত্রহীন দুইবোনের হাত থেকে রক্ষা পেতে নড়াইলের এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সাবেক ইউপি মেম্বরের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম মোল্লার ছেলে হাফিজুর রহমান বিপ্লব।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বর ও নড়াইল জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক। বিগত ৮ বছর পূর্বে সাতক্ষীরার মেহেদীবাগ এলাকার বাবর আলী গাজীর কন্যা হোসনে আরা রূপার সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমি জানতে পারি রুপা একজন চরিত্রহীন নারী। ব্যবসা করার সুবাদে আমি রুপাকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতাম। কিন্তু ওই চরিত্রহীন রূপা একাধিক পুরুষের সাথে মোবাইলে সম্পর্ক করায় তার সাথে আমার মনোমালিন্য হয়। একপর্যায়ে সে আমার বাসা থেকে নগদ ব্যবসায়ের ১৭লক্ষ টাকা ও স্বর্ণের গহনাসহ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে গিয়ে আমাকে ৩টি তালাকের নোটিশ প্রেরণ করে। তিনি বলেন, ঢাকায় তার একটি ছিনতাই গ্যাং রয়েছে। ওই গ্যাংয়ের সহযোগিতায় বিভিন্ন সময়ে আমার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া একাধিক সম্মানি ব্যক্তিকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা, যশোর, ঢাকা ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া চাকুরি দেওয়ার নাম করে অসংখ্যা যুবক-যুবতীদের সাথে তার প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে। উক্ত মামলা গুলোর মধ্যে দুটিতে ওয়ারেন্ট রয়েছে। ওই মামলায় আটকের ভয়ে বর্তমানে রূপা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। রূপা ১০ থেকে ১২টি মোবাইল সীম ব্যবহার করে। কখনো পুলিশের বৌ, কখনো সচিবের, কখনো মন্ত্রীর এপিএস এর বৌ দাবি করে প্রতারণা করে। সে এসব ঘটনায় জেলও খেটেছে। ২০০৯ সালে ঢাকায় গিয়ে সংগীত শিল্পী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন যুবক ও ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। আমাকে সাতক্ষীরায় ডেকে নিয়ে ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটে নিয়েছে। এবিষয়ে সাতক্ষীরায় একটি মামলাও রয়েছে। আমাকে ধ্বংস করার জন্য তার বোন জোসনাকে ব্যবহার করে হরিনটানা থানায় মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সাতক্ষীরায় চুরির অপরাধে এলাকাবাসী রূপাকে গণধোলায় দেয়। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানতে পারেন চুরির অপরাধে এলাকাবাসী তাকে গণধোলাই দিয়েছে এবং নিজের মাথা নিজেই ফাটিয়েছে। যে কারণে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার মামলা নেয়নি। তিনি আরো বলেন, আমাকে আর্থিক, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে রুপা ও জোন্সা সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে। প্রতারক চরিত্রহীন রূপার কবলে পড়ে বর্তমানে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এমতাবস্থায় তিনি (বিপ্লব) ছিনতাইকারী রূপা ও তার বোন জোসনাসহ তার গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।