ফেরদৌস আহমেদ:
**পরিবার-পরিজন নিয়ে কুড়েঘরে বসবাস করে সোহাগ**
হামলা, মামলা, গ্রেফতার যার নিত্য সঙ্গী ছিল তার নাম আবু জাহিদ সোহাগ। ছাত্রদল থেকে যুবদল দীর্ঘ ১৬ বছরে স্রোতের প্রতিকূলে রাজনীতি করেছে শহিদ জিয়ার আদর্শ ধারণ করে। রাজনীতি করার কারণে প্রতিপক্ষরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয় ফলে মাটির ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে প্রতিভাবান এই যুব নেতা। শত বাধার মুখে থেমে থাকে নি সোহাগ। যুবদলের দায়িত্ব পাওয়ার পর ১১০ টি কমিটি গঠন করে তাক লাগিয়ে দেয় যুব সমাজকে। ডাক পড়লেই হাজারো যুবক হাজির হয় সোহাগের কাতারে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০০০ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে সোহাগ স্কুলের ইয়ার কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন সোহাগ। ২০০৬ সালে আশাশুনি সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ সভাপতি, ২০০৯ সালে উপজেলা ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক, ২০১১ সালে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য, ২০১৩ সালে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক পরবর্তীতে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন আবু জাহিদ সোহাগ। সর্বশেষ ২০২১ সালে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়ে যুবদলকে এগিয়ে নিতে ১১০ টি ইউনিটে কর্মিসমাবেশের মাধ্যমে কমিটি গঠন করেছেন তিনি। সম্মেলনস্থল গুনাকরকাটি আব্দুস সামাদ এর চাতাল থেকে এবং আশাশুনির এক মাদ্রাসা মাঠ থেকে পুলিশ তাকে আটক করে নাশকতা মামলায় চালান দেয়। ১১টি ইউনিয়ন কমিটি, ৯৯ টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে যুবদলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন সোহাগ।
আবু জাহিদ সোহাগ সাতনদীকে জানিয়েছেন, ২০ বিঘার মৎস্যঘের তৎকালীন সরকার দলীয় লোকজন দখল করে নেয়। ব্যবসা হারিয়ে দীর্ঘকাল তাকে তার পরিবারকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে। বর্তমানে তিনি গোলপাতার ছাউনি মাটির ঘরে বসবাস করেন। শহিদ জিয়ার আদর্শ ধারণ করে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। তার লক্ষ্য বহুদূর।
তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে প্রান্তিক মানুষের সেবক হতে চান। ২০২৩ সালে হাফ ডজন নাশকতা নাশকতা মামলার শিকার হয়ে ৪ বার জেলে গিয়ে দীর্ঘকাল কারান্তরীন ছিলেন তিনি। ২০২৪ সালেও আন্দোলনের সময় জেলে যেতে হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে বিগত সরকারের দেওয়া মামলার সংখ্যা ৯ টি।