নিজস্ব প্রতিবেদক: ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার ও দি হাঙ্গার প্রজেক্টের উদ্যোগে সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১:০০টায় ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ফোর্ব-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. শাহনাজ করীমের সভাপতিত্বে ‘সম্প্রীতি সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে এদেশের জন্ম হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল এই দেশের সকল মানুষের সমান অধিকার, সমান মর্যাদা নিশ্চিত করা। আমরা চাই ধর্ম বা অন্য কোন কারণে কোন মানুষ বৈষম্যের শিকার হবে না। ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারের তরুণেরা সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় যে কাজটি করছে আমি তা সমর্থন করি। এই কাজে আমার দিক থেকে পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।” বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য লুতফুন নেসা, ফোর্ব-এর ডিরেক্টর অপারেশনস চার্লস রিড, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর নাছিমা আক্তার জলি। লুতফুন নেসা বলেন, পর¯পরের প্রতি সহমর্মিতা জাগ্রত করার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। নাছিমা আক্তার জলি বলেন, ধর্ম যার যার দেশ আমাদের সকলের। স্বাধীনতার পর যে সংবিধান প্রণয়ন হয় তাতে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলা হয়। আমাদের দেশ হবে অসম্প্রদায়িক, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ। ড. শাহনাজ করিম বলেন, সমাজে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমরা ধর্মীয় নেতাদের আমাদের সঙ্গে পেয়েছি। পাশে আছেন প্রতিটি এলাকার সংসদ সদস্যগণ। আমরা সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচষ্টায় সবার জন্য সমতা ও ন্যায্যতার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। উল্লেখ্য, ‘ফ্রিডম অব রিলিজিওন অর বিলিফ লিডারশিপ নেটওয়ার্ক (ফোর্ব)’ মূলত সামাজিক সম্প্রীতি সুরক্ষা এবং ধর্ম ও বিশ^াসের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কাজ করে। উল্লিখিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারের তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্যোগে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তরুণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে তরুণ নেতৃত্ব বিষয়ক প্রশিক্ষণ, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, প্রচারাভিযান, সামাজিক সম্প্রীতি কর্মশালা, দশটি জেলায় সংসদ সদস্যগণের উপস্থিতিতে সামাজিক সম্প্রীতি সংলাপসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংলাপে তারা তাদের কাজের বিভিন্ন সফলতা উপস্থাপন করেন। সংলাপে শিক্ষাবিদ, ধর্মীয় নেতৃত্ব, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং তরুণদের প্রতিনিধিবৃন্দ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’র সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শশাংক বরণ রায়।