ঐতিহ্যের আলমিরা খুলে খুঁজে দেখি
তোমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে গোবরে পোকা
কুৎসিত কিম্ভুতাকার রক্তলোলুপ আপতশান্ত
তৈলাক্ত খোলসে ঢাকা পড়ে আছে অসভ্যতার উন্মাদনা। নগ্ন নৃশসংতা কেড়ে নিচ্ছে উচ্ছসিত জীবনের প্রত্যয়। নিষ্ঠুর মিথ্যাচার উগড়ে দিচ্ছে প্রাচীন বিভীষিকা।স্পেনসারের ড্রাগন ঘুরে বেড়াচ্ছে ঘোর অমানিশা।
নিষ্পাপ শিশুর রক্ত নিয়ে হোলি খেলে উন্মাদ প্রতারক। আধাঁরে বেড়ে ওঠে অন্ধকারের জীব ধূর্ত হন্তারক। ওরা গুড়িয়ে দিতে চায় আমাদের রক্তের অর্জন
তিলে তিলে গড়ে ওঠা মননের ধ্রুপদী নির্মান।
ওরা এমনই অন্ধকার সুতীক্ষ্ন চোখের সতর্ক
চাহনিও খুঁজে পায় না এই ভয়ংকর দুর্গন্ধ ছড়ানো ঘাতক।
দু কদম হাঁটলে ঠোস ওঠে যাদের পায়ের পাতায়
পাগলা ঘোড়ার মতোন তারা আজ দৌড়াচ্ছে দিকচিহ্নহীন
তারা আনন্দ বোঝে না কালো কফিনে সভ্যতা ঢেকে রাখে
তারা মেঘের বুক থেকে কেড়ে নেয় তৃষাভুক
বিন্দু বিন্দু জল।
এখনো অবলীলায় বিষবৃক্ষের চাষ হয়
আমাদের সোনার মাটিতে। শ্রাবনেও শুকিয়ে যায় বৃক্ষমুল।
ডানে বায়ে যেদিকে তাকাই সেদিকেই
বিষবৃক্ষের কন্টাকাকীর্ণ ঘন ঝাউ বন।
ভেঙে ভেঙে অমাবস্যার আধাঁর দু-একজন
বাতিওয়লা
ছুটে বেড়াচ্ছে হাতে নিয়ে ব-দ্বীপের মানচিত্র।
কোথাও নেই সুর ও ছন্দ নেই পাখিদের রিদমিক কোলাহল
শরত শিশিরে সবুজ ঘাসের বুকে শালিক
খোঁজে না দানা
কোনো শিশু আজ শিউলি তলায় শুভ্রতা
স্পর্শ করেনি
কেড়ে নিচ্ছে শিশুর হাত থেকে দুগ্ধ সরোবর
মুনাফার কীট
নাচেনি ঝুম ঝুম কোনো যুবক যুবতী শারদ
স্নিগ্ধতায়।
যারা শারদ সকালে শিউলি তলায় ফুল কুড়াতে আসেনা
তারা কী পাখি ভালোবাসে? শিশুদের হাতে
শাপলা তুলে দেয়?
তারা কী বাংলাদেশ দেখে? তাদের কন্ঠে কী
ধ্বনিত হয়?
" ওমা তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন জলে ভাসি.....
তোমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে গোবরে পোকা
যাদের প্রয়োজন ছিল ভালোবাসার
তারা আজ পথহারা ডানাভাঙা বিহঙ্গ
কিশোর কিশোরীরা চোখ-কান পেছন দিকে
ফিরিয়ে
উদাসীন হাঁটে যে পথে পাতা আছে প্রতারণার ফাঁদ।
উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টাগুলো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে
হেঁটে যাচ্ছে অ্যাকিলিসের অভিশপ্ত পা।
আমরা কি ক্রমশ বিকৃতিতে নিমজ্জিত
হচ্ছি আপদমস্তক ?