সচ্চিদানন্দদেসদয়: আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে আদালতের স্টে অর্ডার (স্থগিতাদেশ) অমান্য করে লক্ষাধিক টাকার বৃক্ষ কেটে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাধা দিতে গেলে প্রাণ নাশের হুমকী দেওয়া হয়েছে।
মিত্র তেতুলিয়া মৌজায় ২৪ নং খতিয়ানে ১১২ ও ১১৭ দাগে (ভিপি ১৪৮, ১৫০) ০৬ শতক জমির মধ্যে ০১ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হন মৃত মালেক গাজীর পুত্র ইয়াকুব আলি। উক্ত জমিতে তিনি পাকা দোকান ঘর বেধে ভোগদখলে আছেন এবং জমির অন্য অংশে তার মরহুম স্ত্রীর কবরস্থান ও সেখানে বহু গাছ গাছালি লাগান। অপরদিকে দাউদ গাজী তার অংশের এক শতক জমি ২০১১ সালে মেম্বার জহিরের কাছে বিক্রয় করে নিঃস্বত্তবান হয়েছেন। দলিল নং ২৯৫৫/১১। পরে তিনি ৭০ খতিয়ানে অর্ধ শতক জমি ক্রয় করেন, কিন্তু সেখানে দখলে না গিয়ে ২৪ নং খতিয়ানে দখল নিতে চায়। বাধা দিলে তিনি দেং ১৪/১৬ নং মামলা করেন। আদালতে তার পক্ষে রায় হলে ১/১/১৯ তাং ইয়াকুব আলি দিং দেং আপীল ০৬/১৯ রুজু করেন। আপীল মামলা নং ৬/১৯। বিজ্ঞ আদালত পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তর্কিত রায় ও ডিগ্রীর কার্যক্রম স্টে রাখার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
তা স্বত্তেও তিনি গত ১৭ অক্টোবর দাউদ গাজী, এছমাইল গাজী, আকবর গাজী, শামীম গাজী, রজব গাজীসহ ১১ জন উক্ত জমিতে অবৈধ প্রবেশ করে ১২/১ট মূল্যবান গাছ কর্তন করেন। যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ টাকা। ইয়াকুব আলি, ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি শহীদ বাধা দিতে গেলে জীবন নাশের হুমকী দিয়ে হাকিয়ে দেওয়া হয়। ইতিপূর্বে তারা ইয়াকুব আলির দু’পুত্রকে অপহরণ ও অন্যদের বেদম মারপিট ও রক্তাক্ত জখম করে দোকান ঘর ভাংচুর করেছিল। যার জিআর ২৫০/১৬ মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। তারপরও তাদের অত্যাচার ও হুমকী ধামকী থেমে থাকেনি। বাধ্য হয়ে এক বছর যাবৎ ইয়াকুব আলির পরিবার প্রাণ ভয়ে মাগুরাতে গিয়ে বসবাস করছেন। কবরস্থানের ও তাদের জমির গাছ কর্তন করে আবারও তাদের উপর জীবন নাশের হুমকীতে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।