আহাদুর রহমান জনি: ভারতীয় রুপিসহ হাফিজুর তিনদিন পূর্বে গ্রেপ্তার হলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি মূল হোতা মেম্বার কবিরুল। ঘটনার দিন পালিয়ে বাচলেও আত্মগোপনে থেকে তার হুন্ডির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে অবাধে।
গত রবিবার সীমান্তবর্তী জেলার সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা বন্দর সংলগ্ন শেখ মার্কেট থেকে হাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে আটক হয়। শেখ মার্কেটেই আটকের স্থান সেই দোকানসহ আরও তিনটি দোকান আছে মেম্বার কবিরুলের। মার্কেটের প্রথম দোকানটি মোবাইলের শো’রুম। তবে এখানে শুল্কফাঁকি দেওয়া ভারতীয় মোবাইল অহরহ বিক্রি হয়। মাঝের দোকাটিই হুন্ডির টাকার লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এবং তৃতীয় দোনটি কম্পিউটার কম্পোজ ও ফটোকপির জন্য।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জনপ্রতিনিধির ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে কবিরুল দিনের পর দিন এসব অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে। তার ভারতীয় পার্টনার হলো ঘোজাডাঙ্গার নুনু। এই দুই ব্যক্তির দুই প্রতিষ্ঠানের মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে ট্যক্স টাকা লেনদেন করা হয়। তবে নগদ ভারতীয় রুপির বিষয়টি ভিন্ন। ভারতে বাংলাদেশী মানব পারচারকারী ও ধুরদের জন্য প্রয়োজনীয় হলো নগদ রুপির। এই নগদ রুপির সংস্থান করে দেয় কবিরুল। ফলে মানব পাচারকারীদের সাথেও তার আঁতাত আছে।
এসব বিষয় নিয়ে কথা হলে মেম্বার কবির হোসেন সাতনদীকে জানান, আমি এসব ব্যবসায় ছেড়ে দিয়েছি দেড় বছর। অনেক টাকা দেনা হয়ে অবশেষে জমি জায়গা বিক্রি করে দিয়েছি। দোকানগুলোর ব্যাপারে তিনি বলেন মোবাইলের দোকানটি ভাইপো চালায়, আর ওই দোকানটি হাফিজুর চালাত। আমি ভোমরায় উঠিনা বছরখানেক। ঘোজাডাঙ্গার নুনুর সাথে ব্যবসায়ীক সম্পর্কে বিষয়টি মিথ্যা বলে জানান তিনি।