তালা প্রতিনিধি: মঙ্গলবার সকালে তালা উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অফিসের এর আয়োজনে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর হলরুমে ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ সচেতনতা মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার মীর আবু মাউদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার,স্বাস্থ্য পরিদর্শক মীর মহাসীন হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,তালা উপজেলা পরিষদ ভাইচ চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরশিদা আক্তার পাপড়ী, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রাজিব সরদার, পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার মোঃ আমিনুল ইসলাম, ডাক্তার রওশন দায়েমী, ডাক্তার মেরিনা আক্তার, প্রধান সহকারী মোঃ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিকবৃন্দ,কৃষি অফিসের উদ্ভীদ সংরক্ষন কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর, হারবাল এ্যাসিষ্টান মোঃ ইয়াছিন হোসেন,নার্স নাছিমা আক্তার, মাহমুদা আক্তারসহ সকল নার্স, হাসপাতালের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ডাক্তার রওশন দায়েমী। তিনি ডেঙ্গু রোগের কারন ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সভাপতির বক্তব্যে টিএইচএ ডাক্তার মীর আবু মাউদ বলেন, সরকারী হিসাবে আজ পর্যন্ত দেশে মোট ২৭ হাজার ৪শত ৩৭জন ডেঙ্গু রোগের লক্ষন পাওয়া গেছে এবং ১৮ জন রোগী মৃত্যু বরন করেছে। বে-সরকারী মতে মৃত্যুর সংখ্য ৮০জনের মত। তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু জ¦র ১মবার হলে তেমন কোন সমস্যা হয়না। তবে ২য়বার আক্রান্ত হলে সমস্যা জটিলতা ধারন করে । তিনি বলেন ডেঙ্গুর রোগীর জন্য ২জন ডাক্তারের মাধ্যমে ১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ১২ ইউনিয়নে ১২টি এবং হাসপাতালে ২টি । সার্বক্ষনিকভাবে কন্ট্রোল রুম খেলা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগের লক্ষন দেখা দিলে সাথে সাথে হাসপাতালে কর্তৃক ০১৭৩০-৩২৪৬১৯ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া জরুরী প্রয়োজনে সেন্ট্রাল কন্ট্রোলরুম ০১৭৫৯-১১৪৪৮৮ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে হবে। টিএইচএ আরও বলেন, ডেঙ্গু জ¦র হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোন ঔষধ খাওয়া যাবেনা। তালা উপজেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা হতে ৪জন ডেঙ্গু রোগের সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু রোগ হলে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হয়। মনে হয় সব হাড় ভেংগে গেছে। যদি এডিস মশার প্রজনন কোষ ধ্বংশ করা যায় তবে ১৫ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু নিমূল করা সম্ভব । কেননা এডিস মশা ১২-১৪ দিন পর্যন্ত বাঁচে । প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে মাসে একবার ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা দেওয়া যায় কিনা । এ প্রশ্নের জবারে টিএইচএ বলেন,বর্তমানে ডাক্তার সংকটের কারনে এক্ষুনী দেয়া সম্ভব নয়, তবে অচিরের আমরা অনেক ডাক্তার পাবো । তখন দেয়া যেতে পারে । এছাড়া টিএইচএ বলেন, হাসপাতালকে আরও বেগবান করার জন্য আমার নিজ উদ্দেগে সিভিল সার্জন মহদয়ের অনুমতিক্রমে ৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছি। বায়োমেটিক হাজিরার ব্যবস্থা করেছি । তালা হাসপাতালকে একটি মডেল হাসপাতালের জন্য যা যা করনীয় সেটা করবো। এইজন্য আমার একার দ্বারা সম্ভবনয় । জনপ্রতিনিধিসহ আমার ষ্টাফরা সবাই মিলে যদি একযোগে কাজ করি তবে অচিরের আমরা আমাদের অভিষ্ঠ লক্ষে পৌছাতে পারবো ইনসাল্লাহ ।