নজরুল ইসলাম, তালা: তালা সদরের গুচছগ্রামের পিতৃমাতৃহীন বাকপ্রতিবদ্ধি এতিম শিশু মুহা. তামিম মালী (৮) এর প্রতিবন্ধী কার্ড প্রাপ্ত হয়নি। প্রাপ্ত তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে, সহায় সম্বল হীন আটারই গ্রামের মুহা. নিজাম উদ্দীন মালির পিতার জন্মভিটা ডুমুরিয়া থানার মালতিয়া গ্রামে। সেখানে কোন জমি জায়গা না থাকার নানার বাড়ি জেয়ালানলতায় ১৯৭১ সালে পিতামাতার সাথে আসেন এবং সেই থেকে জেয়ালা নলতা গ্রামে বসবাস করতেন। নানার বাড়িতে মাত্র দু,শতক জমি তার মায়ের ভাগে পান। দারিদ্রতার কারনে ওই দুশতক জমি মা বিক্রি করেদেন। ফলে অসহায় হয়ে পড়েন পরিবার টি। বিগত ১৭ বৎসর ধরে বসবাস করছেন তালা ব্রিজের নিচে গুচ্ছগ্রামে ১ টি পুত্র সন্তান মো. ওমর ফারুক মালী ও চারটি কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করেন গুচ্ছ গ্রামে। তিনটি কন্যা বিবাহ দেন তিনি। একটি কন্যা অবিবাহিত অবস্থায় আছেন পরিবারে। পুত্র সন্তান মো. ওমর ফারুক কে যশোর জেলার মনিরামপুর থানার দেবেদাসপুর গ্রামে বিগত ১০ বৎসরপুর্বে বিবাহ হয়। বিয়ের পর তার একটি পুত্র সন্তান জম্মগ্রহন করেন তার নাম রাখা হয় মুহাঃ তামিম মালী বর্তমান তার বয়স ৮ বৎসর। এই তামিমের জম্মের প্রায় দেড় বৎসর পর মাতা রুবিনা বেগম শিশু তামিম কে ফেলে রেখে অন্যত্র চলে যান। শিশুটি জম্মথেকে বোবা কথা বলতে পারে বাকপ্রতিবন্ধী হয়। কোন চিকিৎসা করেও লাভ হয়নি। পিতার দাদার সংসারে মাতৃহিন তামিম বড়হতে থাকে বিধিবাম গত দেড়বৎসর পুর্বে সিশু তামিমের পিতা মারাযান। শিশু তামিম মাতৃপিতৃহিন হয়ে হতদরিদ্র দাদার সাথে রয়েছে। দাদা দ্বিন মজুর হতদরিদ্র গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্ধা এই বাকপ্রতিবন্ধি তামিম তার দাদার সাথে তালা প্রেসক্লাবে আসে। এই এতিম বাক প্রতিবন্ধির দিকে নজর পড়ে তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এস, এম নজরুল ইসলাম সহ সকল সাংবাদিকদের। সাথে সাথে তার ছবি তুলে সরকারের সাতক্ষীরার মানবিক জেলা প্রসাশক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, জেলা সমাজসেবা অফিসার, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, তালা সমাজসেবা অফিসার এর নজরে আনতে তাৎক্ষনিক এই প্রতিবেদন প্রস্তুুত করে তাকে একটি প্রতিবন্ধী কার্ডসহ পুন. বাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখিত জেলা প্রসাশক সাহেবসহ সকল অফিসার এবং জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা কামানা করেছেন তালা প্রেসক্লাব। এতিমের সাথে যোগাযোগের জন্য তার দাদা মো. নিজাম উদ্দীন মালি মোবাইল : ০১৯৬৬- ৯৮৭২৮৫।
তালা ব্রিজের নিচে গুচ্ছ গ্রামের পিতৃমাতৃহীন বাক প্রতিবন্ধী শিশু তামিম পুন:বাসনে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা
পূর্ববর্তী পোস্ট