
তালা থেকে ফেরদৌসি আলম: দৈনিক যশোর বার্তা পত্রিকায় ৩ মার্চ সোমবার “তালায় সন্ত্রাসী গডফাডার ও নানান অপকর্মের হোতা নজরুল ইসলাম আবারও বেপরোয়া” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি তালা প্রেসক্লাবের দৃষ্টি গোচর হওয়ায় সংবাদটির নেপথ্য কাহিনী তুলে ধরা হলো-তালায় একটি এনজিও পরিচালক নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দলের নেতা তার অর্থায়নে এ অঞ্চলে চরমপন্থীদের অভয়ারণ্য গড়ে ওঠে। এস.এম নজরুল ইসলাম ১৯৮৮ সালে প্রথম সংবাদিকতায় প্রবেশ করেন। তিনি প্রথম শ্রেনীর একজন সরকারী ঠিকাদার। চলতি বছর তিনি প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা আয়কর প্রদান করেছেন। নব্বই দশক থেকে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে চরমপন্থী সন্ত্রাসী অস্ত্রধারীদের বিচারণ সর্বজন জ্ঞাত। ১৯৯০ সাল থেকে দৈনিক পূর্বাঞ্চল, খুলনা পত্রিকায় তালা অফিস প্রধান হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাংবাদিক হিসাবে তালা উপজেলা ব্যাপি রয়েছে তার ব্যাপক খ্যাতি ও সুনাম। উক্ত এনজিও পরিচালক এর সাথে এস.এম নজরুল ইসলামের একটি ক্রয়কৃত জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা বিচারধীন রয়েছে। নালিশী জমিতে ২০০৪ সাল থেকে তার নির্মিত ৫টি বসত ঘর, ১০ টি দোকান, বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, পুকুর, ল্যাট্রিন, টিউবওয়েল সহ অদ্যবধি দখলে আছেন। উক্ত এনজিও পরিচালক তালা কপোতাক্ষ নদীর মেলা বাজার নামক স্থানে নদীর গর্ভে সিমেন্টের পিলার ও বাঁশের খুটি দিয়ে প্রায় ২-৩ বিঘা জায়গা দখল করেছেন এবং নদীর মধ্যে তার বাঁশের বেরা দিয়ে দখলের চিহ্ন রয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে নদী দখলমুক্ত করতে তালা নাগরিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে তালায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জমি তার এনজিও কর্মীদের মাধ্যমে জবর দখলের হুমকি দিলে গত ৯ ফেব্রুয়ারী ২৫ তারিখে উক্ত এনজিও রেজিঃ বাতিল সহ সরকারী সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দপ্তরের তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এস.এম নজরুল ইসলাম। এ সকল বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হওয়ায় তদাক্রোশে গত ২০ শে ফেব্রুয়ারী এনজিও পরিচালক বিভিন্ন নামে নিজে ব্যানার তৈরী করে তার এনজিওর পুরুষ ও মহিলা কর্মী, ৩০ কেজি চাউলের কার্ড দেওয়ার নাম করে গ্রামের অসহায় দুস্থ মহিলাদের জড়ো করে আড়ালে থেকে মানববন্ধন করে। এই মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেয় চরমপন্থী ফারুক জোয়াদ্দার, ওকেল খাঁ, সালাম খাঁ, মিজান খাঁ। চরমপন্থী ফারুক জোয়াদ্দার পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি এম.এল (জনযুদ্ধ) তালা অঞ্চলের শীর্ষ নেতা থাকাকালে তৎকালীন পুলিশের নজরে আসে। তার পিতা আমির জোয়াদ্দার ছিলেন স্কুল শিক্ষক তিনি সন্তানের জীবন রক্ষার্থে সে সময়কার পুলিশকে ম্যানেজ করে মালায়েশিয়ায় পাঠিয়ে দেন। ২০২২ সালে দেশে ফিরে সে তখনকার নেতাদের খুব প্রিয়জন হয়ে উঠেন ফারুক জোয়াদ্দার। তার আসল চেহারা ফুটে ওঠে গত ৫ ই আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম সিরাজ উদ্দীনের বিগত ২৭ বছর পূবের্র পুরাতন বল খেলার মাঠ সংলগ্ন ৪ টি আধাপাকা দোকান ঘর উক্ত ফারুক জোয়াদ্দারের নেতৃত্বে ভাংচুর করে ধুলিসাৎ করে দেয় তার কোন চিহ্ন নেই উক্ত দোকানে থাকা নগত টাকা ও ৩০লক্ষ টাকার মালামাল লুট করার মাধ্যমে। সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী ফারুক জোয়াদ্দারের নির্দেশে ওকেল খাঁ, সালাম খাঁ, মিজান খাঁ নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী জেয়ালা শেখের হাট ও ঘোষপাড়ায় তান্ডব চালিয়ে প্রায় ২কোটি টাকার মালামাল লুট করে। বিএনপির তালার কর্ণধর সেজে মানুষের উপর নির্যাতন, জুলুম, লুটপাট, ভুমি দখল সহ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সাবেক সংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাংবাদিকদের সাক্ষাতকারে জানান ফারুক জোয়াদ্দার বিএনপির কোন পদে নেই বা তিনি বিএনপির কেউ নন। তার বিরুদ্ধে দৈনিক সাতনদী পত্রিকায় গত ২০ফেব্রুয়ারী “তালায় চরমপন্থী ফারুক জোয়াদ্দার বেপরোয়া” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে এবং গত ২৭ শে ফেব্রুয়ারী “দক্ষিণাঞ্চলে ফের সংগঠিত হচ্ছে চরমপন্থীরা, নেতৃত্বে ফারুক জোয়াদ্দার” শিরোনামে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী, খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক খুলনাঞ্চল, দৈনিক প্রবর্তন, যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলার ভোর, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকায় সহ দৈনিক সাতনদী পত্রিকায় ১মার্চ “ফের সংঘঠিত হচ্ছে চরমপন্থীরা নেতৃত্বে ফারুক জোয়াদ্দার নেতৃত্বে সংবাদ প্রকাশে তদন্তে গোয়েন্দা সংস্থা, ধামাচাপা দিতে দরমুজ বাহিনীর মহড়া” শিরোনামে উল্লেখিত সংবাদ প্রকাশিত হয়। এস.এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকতা শুরু থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত কোন চরমপন্থী, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ, ভুমি দস্যু ও জনক্ষতিকর কর্মকান্ডে লিপ্ত ব্যক্তিদের সাথে কখনও আপোষ করেনি। যাহা তালাবাসী সহ খুলনা বিভাগের সকল সাংবাদিকরা অবগত আছেন। চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ২ মাস যাবত লেখনীর ফলস্রুতিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ভুয়া, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক, মনগড়া তথ্য উল্লেখ্য করে দৈনিক যশোর বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি অসত্য, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি পরিচায়দানকারী ব্যক্তি আদৌ তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি নন সে ভুয়া সাংবাদিক ও প্রতারক। তালা প্রেসক্লাবের বৈধ সভাপতি এস.এম নজরুল ইসলাম। যার নাম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে প্রকাশ করা হয়েছে সে চরমপন্থী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী। প্রকৃতপক্ষে তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ জলিল আহমেদ। তালা প্রেসক্লাবের নাম ব্যাবহার করে তালায় একাধিক কমিটি সৃষ্টি হওয়ায় সাতক্ষীরা বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রের কার্যালয়ে জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখার স্মারক নং-২৩৮ তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ উক্ত পত্রা আলোকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তালা সাতক্ষীরাকে বিজ্ঞ কৌশুলী মতামতের আলোকে মহামান্য হাইকোর্টের ৪৪৭৪/২২ মামলার ৫ নভেম্ভর ২৩ তারিখের রায়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া কালতক তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসাবে এস.এম নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক সকল কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করিবেন নির্দেশনা প্রদান করে পত্র প্রেরণ করেন। তাছাড়া তালা চরগ্রাম ফুটবল মাঠে তালা প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যজিষ্ট্রেটের নির্দেশে তালা প্রেসক্লাবের ব্যানার ব্যতিত তালা সাংবাদিক ফোরামের ব্যানারে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিধায় তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এস.এম নজরুল ইসলামের নিয়ে কাল্পনিক, ভুয়া, ভিত্তিহীন, মনগড়া, তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এস.এম নজরুল ইসলাম ও সি.সহ-সভাপতি এস.এম জাহাঙ্গীর হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ জলিল আহমেদ সহ কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যবৃন্দরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন।