মাসুদুর রহমান মাসুদ/ আকবর হোসেন/ ইমরান সরদার: সারাদেশে প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বানের অংশ হিসেবে সাতক্ষীরার দু’টি উপজেলার ২১ ইউনিয়নের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। জেলার তালা উপজেলার ১১ইউনিয়নে ও কলারোয়া উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ এপ্রিল রবিবার। বুধবার (২৪ মার্চ) ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তালা ও কলারোয়া নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ( মেম্বর) ও সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা মেম্বর) পদে দ’ুটি উপজেলায় মোট মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল ১ হাজার ২শ’ ২৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১০০ জন, মেম্বর পদে ৮৬৮ জন ও মহিলা মেম্বর পদে ২৫৮ জন মনোনয়ন জমা দেয়। যাচাই বাছাই ও মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষে দু’টি উপজেলায় ২১ ইউনিয়নে মোট প্রার্থী সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ১শ”৮১ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে ৮১ জন, প্রত্যাহার করেছে ১৯ জন। মেম্বর প্রার্থী রয়েছে ৮৪৮ জন, প্রত্যাহার করেছে ২৬ জন এবং মহিলা মেম্বর প্রার্থী রয়েছেঁ ২৫৮ জন।
তালা উপজেলা:
তালা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তালা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে মোট মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল ৬৪৬ জন। চেয়ারম্যান পদে ৪৯ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়ন জমা দেয় ১৮ জন। সাধারণ সদস্য পদে ৪৬২ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৩৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে এ উপজেলায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন মোট ১৩ জন প্রার্থী । বর্তমানে সর্বমোট মনোনয়ন চুড়ান্ত ৬৩৩ জন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার রাহুল রায় জানান, তালা উপজেলা বুধবার (২৪ মার্চ) নির্বাচনী প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল। মোট ১৩জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন, সাধারণ সদস্য ৭ জন, প্রত্যাহারকারী চেয়ারম্যান প্রার্থী (স্বতন্ত্র ) সরুলিয়া ইউনিয়নে ৩ জন, খলিষখালি ইউনিয়নে ১ জন, ইসলামকাটি ইউনিয়নে ১ জন ও খলিলনগর ইউনিয়নে ১ জন। সাধারণ সদস্য পদের ধানদিয়া ইউনিয়নে ২ জন, খেশরা ইউনিয়নে ১ জন, ইসলামকাটি ইউনিয়নে ২ জন, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে ২ জন, মোট ৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এছাড়া ইসলামকাটি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের (বারাত-কাজীডাঙ্গা) সাধারণ সদস্য রফিকুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বিন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গত ১৮ মার্চ ১১ টি ইউনিয়নে মোট মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ৬৪৬ জন। এর মধ্যে চুড়ান্ত মনোনয়ন ৬৩৩ জন। চেয়ারম্যান পদে ৪৯ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন, এর মধ্যে চুড়ান্ত প্রার্থী ৪৩ জন, দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১৮ জন। সাধারণ সদস্য পদে ৪৬২ জনের মধ্যে ৪৫৫ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৩৫ জনের মধ্যে ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। সবমিলে এ উপজেলায় সর্বমোট ৬৩৪ জন প্রার্থী চুড়ান্তভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন। ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রার্থী তালিকায় দেখা গেছে -
ধানদিয়া ইউনিয়ন: ধানদিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল মোট ৪ জন। এর মধ্যে দলীয় একজন ও স্বতন্ত্র তিন জন। এদের মধ্যে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। প্রার্থীরা হলেন আ’লীগ দলীয় প্রার্থী শহিদুল ইসলাম এবং জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র), দিদারুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) ও হামিজদ্দিন গাজী (স্বতন্ত্র)। এ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে সাধারন সদস্য (মেম্বর) পদে মনোনয়ন জমা দেয় ৩৯ জন। প্রত্যাহার শেষে চূড়ান্ত সাধারন ইউপি সদস্য ৩৭ জন সংরক্ষিত ১০ জন।
নগরঘাটা ইউনিয়ন: নগরঘাটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল মোট ৫ জন। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ৩ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দুই জন। এদের মধ্যে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন আ’লীগ দলীয় প্রার্থী কামরুজ্জামান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী আজিজুর রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর প্রার্থী মিলন কুমার ঘোষাল। আর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন জাহাঙ্গীর হোসেন ও এস এম আলতাফ হোসেন। আর সাধারন ইউপি সদস্য পদে ৩৩ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ০৮ জন।
সরুলিয়া ইউনিয়ন: সরুলিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল মোট ১১ জন। এর মধ্যে দলীয় দুইজন ও স্বতন্ত্র নয় জন। এদের মধ্যে ৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। প্রত্যাহারকারীরা হলেন রাশেদুল হক রাজু, মুজিবুর রহমান সরদার ও মামুনুর রহমান খাঁন। চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন আ’লীগ দলীয় প্রার্থী মতিয়ার রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ আলম, আমিনুজ্জামান, শেখ জহুরুল হক, আব্দুর রব, আব্দুল হাই সহ ৮ জন। আর সাধারন ইউপি সদস্য ৫১ সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন।
তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন: তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন মোট ৪ জন। এর মধ্যে দলীয় ২ জন ও স্বতন্ত্র ২ জন। এদের মধ্যে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। প্রার্থীরা হলেন আ’লীগ দলীয় প্রার্থী এম এম আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম আবুল হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আপ্তাব উদ্দীন ও মোস্তাফিজুর রহমান। আর সাধারন ইউপি সদস্য পদে প্রত্যাহার শেষে সাধারন সদস্য পদে ৩৮ জন ও সংরক্ষিত ১৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।
তালা সদর ইউনিয়ন: তালা সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন মোট ৩ জন। এর মধ্যে দলীয় ২ জন ও স্বতন্ত্র এক জন। এদের মধ্যে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন আ’লীগ দলীয় প্রার্থী সরদার জাকির হোসেন, জাতীয় পার্টি থেকে এসএম নজরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিয়ার রহমান। আর প্রত্যাহার শেষে সাধারন ইউপি সদস্যপদের প্রার্থী সংখ্যা ৪৬ জন ও সংরক্ষিত ১০ জন।
ইসলামকাটি ইউনিয়ন: ইসলামকাটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেয় মোট ৫ জন। এর মধ্যে দলীয় এক জন ও স্বতন্ত্র চার জন। এদের মধ্যে শেখ আতাউর রহমান নামের ১ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন আ’লীগ দলীয় প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র সেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শেখ আব্দুল আজিজ, গোলাম ফারুক ও জাহাঙ্গীর আলম। আর প্রত্যাহার শেষে সাধারন ইউপি সদস্য পদে ৩৩ জন ও সংরক্ষিত ১৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।
মাগুরা ইউনিয়ন: মাগুরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল মোট ৫ জন। এর মধ্যে দলীয় দুই জন ও স্বতন্ত্র তিন জন। এরা হলেন আ’লীগ দলীয় প্রার্থী গনেশ দেবনাথ ও বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী হিরন্ময় মন্ডল এবং স্বতস্ত্র প্রার্থী এস এস আইয়ুব হোসেন, সুনিল কুমার দাশ ও জি এম ইমান আলী। এদের মধ্যে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। আর সাধারন ইউপি সদস্য পদে ৪১ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন।
খলিষখালি ইউনিয়ন: খলিষখালি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল মোট ৪ জন। এর মধ্যে দলীয় ২ জন। এদের মধ্যে শেখ নূর আহমেদনামে ১ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন আ’লীগ দলীয় প্রার্থী মোজাফফর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাব্বির হোসেন ও গাজী রেজাউল করিম। আর সাধারন ইউপি সদস্য ৪৯ সংরক্ষিত ১১ জন।
খেশরা ইউনিয়ন: খেশরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী রাজিব হোসেন ও কামরুল ইসলাম লাল্টু (স্বতন্ত্র) মনোনয়ন জমা দেয়। এদের কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় দু’জনই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। আর প্রত্যাহার শেষে সাধারন ইউপি সদস্য পদে জমা দেয় ৩৪ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।
জালালপুর ইউনিয়ন: জালালপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী রবিউল ইসলাম মুক্তি সহ ২ জন মনোনয়ন জমা দেয়। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন এম মফিদুল হক লিটু। এদের কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় দু’জনই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। আর সাধারন ইউপি সদস্য পদে ৪৮ সংরক্ষিত সদস্য পদে ২৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।
খলিলনগর ইউনিয়ন: খলিলনগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী প্রণব ঘোষ বাবলু এবং গোলাম রসুল গাজী (স্বতন্ত্র) ও দেবব্রত কুমার রায় (স্বতন্ত্র) ও এস এম আজিজুর রহমান রাজু (স্বতন্ত্র) এই ৪ জন মনোনয়ন জমা দেয়। এদের মধ্যে দেবব্রত কুমার রায় (স্বতন্ত্র) তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় বাকী ৩ জন চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। এ ইউনিয়নে সাধারন ইউপি সদস্য পদে ৪৫ জন ও সংরক্ষিতসদস্য পদে ০৯ জন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।
তালা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ২ লাখ ৩০ হাজার, ৮শ ২৪ জন ভোটার রয়েছে। উল্লেখ্য আগামী ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
কলারোয়া উপজেলা:
কলারোয়া নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান, সাধারন সদস্য (মেম্বর) ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য (মহিলা মেম্বর) পদে মোট ৫শ’৮০ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫১ জন, সাধারন সদস্য (মেম্বর) পদে ৪শ’০৬ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য (মহিলা মেম্বর) পদে ১শ’ ২৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী ছাড়া ও জামাত বিএনপি ঘরোনার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এই হিসাবে ১০ জন আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিপরীতে ২৮ জন স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থী চুড়ান্ত। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১২৩ জন ও সাধারন সদস্য পদে ৩৮৭ জন প্রার্থী আগামী কাল ২৫ মার্চ প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
শেষ দিনে চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য পদে মোট ৩২ জন সদস্য তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে-১৯ জন প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। ফলে এখন মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৪৮ জনে। শেষ দিন পর্যন্ত সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১২৩ জনের মধ্যে কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেনি। গত ২০ মার্চে প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপীর দায়ে ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন সাময়িক স্থগিত করা হলেও আবার তা বৈধ ঘোষনা করেন কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস।
আমাদের কলারোয়া প্রতিনিধি ইমরান সরদারের দেয়া তথ্য মতে ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রার্থী তালিকায় দেখা গেছে -
১নং জয়নগর ইউনিয়ন: ১নং জয়নগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ৫ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। ফলে চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন আ’লীগ দলীয় প্রার্থী শামছুদ্দীন আল মাসুদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়দেব সাহা, বিশাখা সাহা, আবু বক্কও সিদ্দিক ও আব্দুল আজিজ। আর এ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে সাধারন সদস্য (মেম্বর) পদে ৪০ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ( মহিলা মেম্বর) পদে ১৫ জন।
২নং জালালাবাদ ইউনিয়ন: ২নং জালালাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল মোট ৫ জন। এর মধ্যে শওকত হোসেন ও শরিফুর রহমান তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন আ’লীগ দলীয় প্রার্থী আমজাদ হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম ও দিশান। আর সাধারন ইউপি সদস্য পদে ৪০ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।
৩নং কয়লা ইউনিয়ন: ৩নং কয়লা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল মোট ৬ জন। এর মধ্যে ইমরান হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও বাবু নামের ৩ জন তাদেও প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় চূড়ান্ত প্রার্থী রয়েছেন আওয়ামী লীঘ দলীয় আসাদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র সোহেল ও আব্দুর রাজ্জাক।
৪নং লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন: ৪নং লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী আবুল কালাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম এই ২ জন মনোনয়ন জমা দিয়ে কেউ প্রত্যাহার না করায় দু’জনই প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। এখানে ২ জনের প্রত্যাহার শেষে সাধারন ইউপি সদস্য পদে ২৫ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী রয়েছেন।
৫নং কেড়াগাছি ইউনিয়ন: ৫নং কেড়াগাছি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়ন জমা দেয়। তন্মধ্যে মফিজুল ইসলাম তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় বাকী ৩ জন অর্থাৎ আ’লীগ দলীয় প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ভূট্টোলাল গাইন ও স্বতন্ত্র আফজাল হোসেন হাবিল ও মারুফ হোসেন প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। এখানে সাধারন ইউপি সদস্য পদে ৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষে ৩৫ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন প্রাথী রয়েছেন।
৬নং সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন: ৬নং সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন মনোনয়ন জমা দেয়। এদও মধ্যে মনিরুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম তাদেও মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় আ’লীগ দলীয় বেনজির হোসেন এবং স্বতন্ত্র আলমগীর হোসেন ও শহিদুল ইসলাম মাঠে প্রার্থী রয়েছেন। আর সাধারন ইউপি সদস্য পদে ২ জন প্রত্যাহার করায় ৪৭ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী রেেয়ছেন।
৭নং চন্দনপুর ইউনিয়ন: ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল মোট ৫ জন। এর মধ্যে রমজান আলী ও নুরুল ইসলাম তাদেে মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় আ’লীগ দলীয় মনিরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র ডালিম হোসেন সহ ৩ জন প্রাথী রয়েছেন। আর সাধারন ইউপি সদস্য পদে ৪৭ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে ০৯ জন
প্রাথী রয়েছেন।
৯নং হেলাতলা ইউনিয়ন: ৯নং হেলাতলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেল মোট ৬ জন। দের মধ্যে মনসুর ও আবু জাফর মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় আ’লীগ দলীয় প্রার্থী আনছার আলী সরদার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন, আবু তালেব ও শরিফুল ইসরাম ও আব্দুল মাজেদ প্রাথী রয়েছেন।
১১নং দেয়াড়া ইউনিয়ন: ১১নং দেয়াড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ৬ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিল। এদওে মধ্যে কেউ প্রত্যাহার করেনি। ফলে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ও স্বতন্ত্র আব্দুল মান্নান, মিনহাজ ও ইব্রাহিম সহ ৬ জনই প্রাথী রয়েছেন। আর সাধারন ইউপি সদস্য পদে ৪৬ জন জন সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন।
১২নং যুগিখালি ইউনিয়ন: ১২নং যুগিখালি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছি মোট ৫ জন। এর মধ্যে মনিরুজ্জামান মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় আ’লীগ দলীয় প্রার্থী রবিউল হাসান ও স্বতন্ত্র ওজিয়ার রহমান ও এরশাদ আলী সহ ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। এ ইউনিয়নে সাধারন ইউপি সদস্য পদে ২ জন প্রত্যাহার করায় ৩৬ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী রয়েছেন।
এদিকে মনোনয়ন জামাদানের পর হতে সাধারণ ভোটার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সরব উপস্থিতিতে নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলা জুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ।