
তালা অফিস থেকে নজরুল ইসলাম: আলোচিত লুৎফর নিকারী হত্যাকা-টি ভিন্নখাতে নিতে হত্যা মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা দিয়েছে আসামীর বড় ভাই গোলজার সরদার। সাতক্ষীরা আমলী আদালত-৩ এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় আসামী করা হয়েছে হত্যা মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের। মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তালা থানার ওসিকে নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারক হাসান মুবারক মুনীম।
ডাকাতি মামলার বাদী তালার বারুইহাটি গ্রামের সরদার গোলজার মামলায় উল্লেখ করেন, গত ১৭ আগষ্ট রাত ১১টার দিকে জেয়ালা নলতা গ্রামের সেলিম নিকারী, রুহুল আমীন নিকারী, আবু মুছা নিকারী, রফিকুল নিকারী, শহীদুল নিকারী, জিয়া নিকারী, আব্দুল হাই নিকারীসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচজন ভাই আওয়ামী লীগ নেতা সরদার মশিয়ার রহমানের নলতা বিলে ১২০ বিঘার চিংড়ি ঘের জাল, বেড়জাল, টানা জাল নিয়ে মাছ লুট করতে আসে। তারা রনি বিশ্বাস ও শিমুল মোড়লকে ঘেরের বাসায় আটক করে ফেলে মাছ ধরতে শুরু করে। পার্শ্ববর্তী ঘের থেকে পাহারাদাররা জানতে পারলে সশস্ত্র আসামীরা তাদের দিকে ছুঁটে গেলে তারা ভয়ে চলে যায়। পরে আসামীরা পাঁচ মণ মাছ, দুটি টর্চ লাইট, নগদ ১৬ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল সেট নিয়ে চলে যায়। সেলিম নিকারী ডাকাতি করতে যেয়ে ঘেরে ধরা পড়েছে এমন খবরে বাবা লুৎফর নিকারী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আসামীরা লুৎফর নিকারীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে সরদার মশিয়ার রহমান, রনি বিশ্বাস ও শেখ তুহীনের বিরুদ্ধে ১৮ আগষ্ট তালা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সরদার মশিয়ার জেল হাজতে রয়েছে।
জেয়ালা নলতা গ্রামের নিহত লুৎফর নিকারীর ভাই ইন্নাত নিকারী জানান, আমার ভাইকে হত্যা করে এখন আবার ডাকাতি মামলা দিয়েছে। এই সন্ত্রাসীদের তা-বে তালার মানুষ আজ অতিষ্ট। সাধারণ গ্রামবাসীর নামেও মামলা দিচ্ছে। যাদের নামে ডাকাতি মামলা দিয়েছে এদের মধ্যে কেউ হত্যা মামলার বাদী আবার কেউ আমাদের গ্রামবাসী। হত্যার প্রতিবাদ করায় নিজেরা বাঁচতে এই মিথ্যে মামলা করেছে। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসির দাবি করছি। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, আমি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি গত ২৩ আগষ্ট আদালতে একটি ডাকাতি মামলা দিয়েছে। তবে মামলার কোন কাগজপত্র বা আদেশ আজও (২৭ আগষ্ট) থানায় আসেনি। যার কারণে বিস্তারিত বলতে পারছি না।