তালা সংবাদদাতা: সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মানিকহার গ্রামের মোকফুর রহমানের মেয়ের সঙ্গে নগরঘাটা গ্রামের মোহাম্মদ সিরাজুলের ছেলে আব্দুল আওয়ালের বিয়ের আয়োজনের খবর পায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার।
রবিবার (২১ আগস্ট)দুপুরে ওই কিশোরীর বাড়িতে অভিযান চালান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বরযাত্রী, কাজী ও কনের বাড়ির সব পুরুষ পালিয়ে যান। তবে তার আগেই বাল্যবিবাহ পড়ানো সম্পন্ন হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে অর্থাৎ ১৫ বছরের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে কনের পিতা-মাতাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় কনের পিতা-মাতাকে বিয়ে দেয়ার অপরাধে সেই সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কনেকে বরের বাড়িতে যেতে দেবেন না ও বরকে কনের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে দেবেন না এই মর্মে মুচলেকা নেন। অভিযানকালে থানার পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আদালতকে সহযোগীতা প্রদান করেন।
কিশোরীকে বিয়ে দেয়ার অপরাধে কনের পিতা-মাতাকে এই ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস তাকে জরিমানা করেন। এ সময় বাল্যবিবাহ পড়ানোর দায়ে কাজী সাতক্ষীরার ধুলিহর এলাকার রওশন আলমের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়। অপরদিকে বর পক্ষকে হাজির হবার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাল্যবিবাহ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। বাল্যবিবাহের কোনো ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক,আয়োজক ও কাজিকে আইনের আওতায় এনে শান্তি দেওয়া হবে।
তালায় বাল্য বিবাহের অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা
পূর্ববর্তী পোস্ট