নজরুল ইসলাম, তালা থেকে: তালায় তীব্র গরম আর রোদে অতিষ্ঠ জনজীবন। প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ তাপমাত্রা বাড়তে শুরু হওয়া ও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গরমের মাত্রাটা বেড়েছে। শুক্রবার সবোর্চ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় বৃষ্টির আশার জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়,তালা উপজেলা গত সোমবার তাপমাত্রা ছিলো ২৯ডিগ্রী সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ছিলো ৩২ডিগ্রী সেলসিয়াস, বুধবার তাপমাত্র ছিলো ৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বৃহস্পতি বার তাপমাত্রা ছিলো ৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস, শুক্রবার সবোর্চ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়ে দাড়ায় ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিন্ম ২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রকৃতির এমন আচরণে প্রাণ ওষ্ঠাগত তাদের। রোদের তেজে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। কাজের চাপে বাড়ি থেকে বের হয়ে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়াতলে আশ্রয় নেন অনেকে। গত কয়েক দিনের অব্যাহত তাপমাত্রায় আরও কষ্ট পাচ্ছেন রোজদাররা।
আগোলঝাড়া গ্রামের কামরুল ইসলাম বলেন,‘ভাই কয়দিন খুব গরম পরেছে। ভ্যান নিয়ে বাইরে আসা যাচ্ছে না। গা ঘামে ভিজে যাচ্ছে। সকালে হাটে কলা এনেছি। কলা নামিয়ে অস্থির হয়ে গেছি,তাই নদীর ধারে বসে আছি।’
একই এলাকার ভ্যানচালক সামাদ আলী বলেন,রোজা রাখতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সকালে একটু গরম কম লাগলেও দুপুরের পর অসহ্য গরম লাগে।বাইরে বের হওয়া যায় না।’ কৃষক রহমত গোলদার বলেন, সপ্তাহব্যাপি দিন হলো প্রচন্ড পড়ছে। মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। ধান তুলতে হবে তাই মাঠে এসেছি। কিন্তু রোদের যে তাপমাত্রা,তাতে বেশিক্ষণ কাজ করা যাবে না। এদিকে প্রচন্ড গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগ।বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্ত ডা. রাজিব সরদার বলেন, গরমজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে বাসি ও পচা খাবার পরিহার করতে হবে। তাছাড়া ইফতারে ভাজা-পোড়া খাবার কম খেতে হবে। প্রচন্ড রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। যথাসম্ভব ছায়াশীতল স্থানে থাকতে হবে।
এ বিষয়ে ইমাম তাওহীদুর রহমান বলেন,দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়া মানুষ পানির জন্য খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। আর চাওয়াকে আরবিতে সালাতুল ইস্তেখারা বলা হয় অর্থাৎ পানির জন্য দোয়া করা।