বিশেষ প্রতিবেদক,তালা: সরকার প্রদত্ত ১০ টাকা কেজি দরের(ফেয়ার প্রাইজের) চাউলের কার্ড আতœসাৎ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মিথ্যা অভিযোগে আনয়ন করে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর নামে অপ্রচার ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সম্মানহানী করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন সরদার জাকির।
সর্বশেষ সম্প্রতি শেষ হয়ে যাওয়া তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীকে ঘায়েল করতে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতিক নৌকা পুড়ানোর মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
প্রকাশ, প্রথম ধাপের স্থাগিত থাকা ইউপি নির্বাচনে ২০ সেপ্টম্বার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯ কেন্দ্রের মধ্য বারুইহাটি,আটারই সহ ৩ কেন্দ্র দখল দেয় নৌকা প্রতিকের মনোনীত প্রাথী সরদার জাকিরের সন্ত্রাসী বাহিনী সদস্যরা। সাধারণ জনগণের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করে ভোট ডাকাতি করে চেয়ারম্যান হন সরদার জাকির। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে চেয়ারম্যান হয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনীদ্বারা ইউনিয়ন ব্যাপি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করে। তার প্রতিফলন হিসেবে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে এলাকায় মিছিল করার নামে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের সমার্থক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সদস্য আবুল হোসেন কে রড.হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। বেধড়ক মারপিট করার ফলে আবুল কে প্রথমে তালা হাসপাতাল পরে সাতক্ষীরা সদর ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সেখান হতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এই ঘটনার পরে আবুলের স্ত্রী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি মামলায় রুপান্তির হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের মধ্য কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে উক্ত মামলায় সরদার জাকির সহ সহোদররা এবং সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা আদালতে মাধ্যমে জামিন নিয়ে সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আসেন। এলাকায় ফিরে এসে ইউনিয়ন জুড়ে আবার অরাজকতা সুষ্টি করতে এহন কর্মকান্ড ঘটিয়ের প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে সম্মানহানী করার জন্য মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সরকার বিরোধী বানানোর চেষ্টা করছেন।
প্রতিপক্ষ প্রার্থী তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি, তালা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম ও তার দলীয় নেতা কর্মী সমার্থকদের সম্মানহানী করার জন্য এহন চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করছেন উপজেলা জুড়ে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করার হোতার চাচাতো বড় ভাই সরদার জাকির।
সম্প্রতি তালা সদর ইউনিয়ন জুড়ে অসহায় মানুষের জন্য প্রদত্ত দশ টাকা কেজি দরের চাউলের ১৫শত কার্ড তুলে নেন সরদার জাকির। এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি তদন্ত টিম গঠনএবং তদন্ত করে রির্পোট জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এই চাউলের ১৫ শত কার্ড আতœসাৎতের তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মিথ্যা অপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন সরদার জাকির ।
সংবাদ সংগ্রহ তদন্তে আরও জানা যায়, ভোট চুরি করে চেয়ারম্যান সরদার জাকির অতীতে অন্য দল করতেন। এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে বিরোধীতা করেন তিনি। এমনকি নৌকা প্রতিকের পক্ষে ভোট চাওয়ার দায়ে সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলামকে প্রকাশ্য হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়া হমকি প্রদর্শন করেন সরদার জাকির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র দাশ জানান, তালা সদর ইউনিয়নে অসহায় মানুষের জন্য প্রদত্ত ১০ টাকা কেজি দরের ১৫ শত চাউলের কার্ড আতœসাৎতের তদন্ত চলমান রয়েছে। এবং এই ১৫ শত কার্ড মধ্য আমার অফিসে কার্ডের কলাম/ জায়গা খালি না থাকা কার্ড গুলো নতুন করে রিপ্লেসমেন্ট করা হয়েছে নাম পরিবর্তন ছাড়া। এছাড়া চেয়াম্যানের নির্দেশে আতœসাৎ কৃত ১২ শত কার্ড অসহায় মানুষের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই কার্ডের নাম পরিবর্তন করার ক্ষমতা চেয়ারম্যানে নেই।
ভোট ডাকাতির চেয়ারম্যান সরদার জাকির জানান, স্থানীয় একজন মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী তার এলাকায় আওয়ামীলীগের নৌকা পুড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন।নৌকা পুড়ানোর বিরুদ্ধে আজ তালায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এখানে সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম কিভাবে জড়িত তাহার সঠিক উত্তর দিতে পারেননি সরদার জাকির। এবং চাউলের কার্ড আতœসাৎ বিষয় জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের পাশ কাটিয়ে জরুরী ফোন এসেছে বলে চলে যান।
অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম বলেন,আমি তালা সদর ইউপি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদন্ধীতা করি। নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সরদার জাকির চেয়ারম্যান হয়ে আমাকে ও আমার দলীয় কর্মী,সমার্থকদের ঘায়েল করতে বিভিন্ন প্রকার প্রপাগান্ডা ও মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছেন। এবং সর্বশেষ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতিক নৌকা পুড়ানোর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সম্মানহানী করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,আমি এবং আমার দল জাতীয় পাটি মহজোটের শরীক দল থাকায় বিগত উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহন করি। অংশ নেওয়ার কারনে এই সরদার জাকির আমাকে প্রকাশ্য হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন। এবং তালা ইউনিয়নের ১৫ শত অসহায় সাধারণ জনগণের চাউলের কার্ড আতœসাৎ করে প্রায় ৫০ টন চাউল হজম করতে চেয়েছিলেন সরদার জাকির। সেই ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কশন করছি সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হোক।