
বিশেষ প্রতিবেদক, তালা: তালা উপজেলা ডাঃ সনজয় বিশ্বাস কোন প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিনা নোটিশে ক্ষমতার দাপটে ও অর্থের লোভে চাকুরী কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মির্জা কালাম উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রকাশ, গত ২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর প্রাণী সম্পদ অফিসে “এলডিডিপি” প্রজেক্টের আওতায় তালা সদর ইউনিয়নের মাঝিয়াড়া গ্রামের মৃত.মির্জা আব্দুল বারিক এর পুত্র মির্জা কালাম তালা “এলএসপি” পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। নিয়োগ বোর্ডে উপজেলা নির্বাহী অফিসার,প্রাণী সম্পদঅফিসার,মৎস্য অফিসার, যুব উন্নয়ন অফিসার এবং মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার ৫ জনের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ডে এই নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগের পর হতে মির্জা কালাম প্রতিদিন অফিস করে আসছিলেন। যথারীতি গত ১০ জুন ২০২১ তারিখ মির্জা কালাম অফিসে গেলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ সনজয় বিশ্বাস তার চাকুরী নাই বলে অফিস হতে চলে যেতে বলেন। চাকুরী যাওয়ার কারন জিঞ্জাসাবাদে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননী বলে লিখিত বক্তব্যে আবুল কালাম জানান।
আবুল কালাম আরও জানান, তার পরিবর্তে আরও একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, আবুল কালামের পরিবর্তে যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তার সাথে ডাঃ সনজয় বিশ্বাস এর একটি সম্পর্ক আছে। তাহাছাড়া এখানে অর্থের ও লেনদেন হয়েছে। তাহা না হলে কালামের চাকুরী যাওয়ার কথা না। আবুল কালাম চাকুরী ফিরে পাওয়ার জন্য তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বরাবর আবেদন করেন।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, কাহাকেও চাকুরী হতে অব্যহতি দিতে গেলে তার দোষ খুজে বের করতে হয়। তদন্ত বোর্ড করতে হয়। দোষী প্রমানিত হলেই কেবল চাকুরী হতে কাহাকেও চাকুরী হতে অব্যহতি দেয়া যেতে পারে। বিনা নোটিশে কাহাকেও চাকুরী হতে অব্যহতি দেয়া যায় না। তবে বিষয়টি যেহেতু উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সেহেতু আমি তার সাথে কথা বলব।
উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমার কাছে ছেলেটি একটি আবেদন করেছে। বিষয়টির ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সনজয় এর সাথেও কথা বলেছি। তাকে এ ব্যাপারে নমনীয় হওয়ার ব্যাপারে অনুরোধ করেছি। তাহা ছাড়া মহামারী করোনায় মানুষ এখন বিপদগ্রস্থ। এমতবস্থায় প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার এমন কাজ আশা করিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সনজয় বিশ্বাস নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিনা নোটিশে ক্ষমতার দাপটে কিভাবে মির্জা কালাম অব্যহতি দেওয়া হল জানার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।