নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে অনু-প্রবেশকারী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের দৃষ্টিগোচর ও যাচাই বাছাই পূর্বক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১ং আড়ংপাড়া ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহরাব হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দলকে শক্তিশালি ও দূর্ণিতিমুক্ত করতে জামায়াত-বিএনপি থেকে দলে অনু-প্রবেশকারীদের যাচাই বাছাই করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ ঘোষনার ধারাবাহিকতায় তালা উপজেলার ৫নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, পিতা- মৃত সৈয়দ আলী মোড়ল, গ্রাম- শিরাশুনি, ইউনিয়ন- ৫নং তেঁতুলিয়া, তালা, সাতক্ষীরা। তিনি শুভাষিনি থেকে স্কুল জীবন শেষ করে যশোর জেলার কেশবপুর কলেজে শিক্ষা গ্রহণ কালে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাজনিতিতে সক্রিয় ছিলেন। শিক্ষা জীবন শেষে একটি বে-সরকারি সংস্থা “উত্তরণ” এ চাকুরিতে যোগদান করে ২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের টোকেয়ার প্রজেক্ট “এডুকেশন” প্রকল্পে কাজ করা কালিন সময়ে তার বিরুদ্ধে দূর্ণিতি প্রমানিত হলে চাকুরিচুত্য হন।
তিনি বলেন, পরে চাকুরি হারিয়ে প্রতিষ্ঠানের কেচ-মামলা থেকে বাঁচতে আওয়ামীলীগের দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে ঘুরা-ঘুরি ও সখ্যতা তৈরি করতে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন। অন্যদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে গোপনে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। ২০১২/১৩ সালে যখন জামায়াত শিবির ও বিএনপি দেশে জালাও পোড়াও তা-বের সময় যেমন তার নিস্ক্রয় ভুমিকা ছিলো তেমনি গোপনে অর্থ যোগানও দিয়েছেন তিনি। পরে তার লুণ্ঠিত অর্থের দাপটে ২০১৩ সালে ৫নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন কিন্তু এর পূর্বে সে ওয়ার্ড অথবা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কোন পদে ছিলেন না। তিনি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হতে থাকে এবং আলোচনা- সমালোচনা শুরু হয়।
তিনি বলেন, আবুল কালাম আজাদের পারিবারিক ইতিহাসও ভাবনীয়। তার পিতা ছিলেন একজন রাজাকার এবং চাচা কেরামত আলি ছিলেন তৎকালিন ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের সময় পিচ কমিটির সভাপতি। ভাই সোলাইমান বর্তমানে জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। এছাড়াও জামায়াত-বিএনপির সাথে তার রয়েছে গভীর সখ্যতা। পারিবারিক জীবনে তার স্ত্রী দিলরুবা বেগম পাটকেলঘাটার এক প্রভাবশালী বিএনপি নেতার বোন। বর্তমান সরকারের দলে অনু-প্রবেশকারী বাছাই ঘোষনার পরে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অধিকাংশ ওয়ার্ড সভাপতিগণ ও নেতা-কর্মীরা তাকে নিয়ে আলোচনার ঝড় তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি দলের মধ্যে কোন্দল ও বিভেদ সৃষ্টি হতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে গত ৫ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সম্পাদক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন সোহরাব হোসেন। বর্তমানে তিনি দলীয় উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে জরুরী ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসময় শেখ ইউসুফ আলী, হামিদুর রহমান, মিজানুর রহমান, কামরুল ইসলাম, রাজু মোড়ল, শাহাজা মল্লিক, পরিতোষ রায়, গণেষ ঘোষ, আঃ বারী, আতিয়ার রহমান, তহিদুজ্জামান, রুহুল আমিন, শংকর কুমার দাশ, কাজী আঃ হামিদ, মফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।