নজরুল ইসলাম, তালা থেকে: তালা উপজেলায় লকডাউন চলমান এই পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এছাড়া তালা থানা ও পাটকেলঘাটা প্রশাসন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জনগণকে ঘরে ফেরাতে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে। সামাজিক রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করেছেন। তবে তালা উপজেলা সাধারণ মানুষ গত বছরের লকডাউনের ক্ষতি এখনো পুষিয়ে উঠতে পারেনি। বিগত বছরের ক্ষতি না কাটতেই ২য় দফায় লকডাউন মানতে নারাজ সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়িরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, গত বছরে কোন বেচাকেনা করতে পারিনি এবারো ঈদের আগে এমন হলে আমাদের পথে বসতে হবে। এক ইজিবাইক চালক বলেন, এনজিও থেকে লোন নিয়ে এই গাড়ী কিনেছি বাড়িতে অসুস্থ মা, ছোট ভাই,ছেলে মেয়ে আছে। পুলিশে জেল জরিমানা যতই করুক না কেন গাড়ী চালাতে হবে খাবো কি ,খাবার দেবে কে?
জেলার সবচেয়ে সুবিধা বঞ্চিত উপজেলা হচ্ছে তালা উপজেলা। এই উপজেলা থেকে জেলা সদরে ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে। তালা থেকে খুলনাঞ্চলে ও খুলনা শহরে ভ্যান ও রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন শত শত মানুষ। এই ধরনের মানুষ বেশীর ভাগ তাদের দৈনন্দিন রোজগার দিয়ে সংসার পরিচালনা করেন। তা এখন ভেস্তে গেছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তারিফ-উল-হাসান এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম তারেক সুলতান এর নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিশেষ সচেতনতামূলক অভিযান ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়ে।এসময় মাস্ক ব্যবহার না করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা, মোটরযানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি বিধি নিষেধ ভঙ্গ করে দোকান খোলা রাখা ও সড়ক পরিবহন আইনে জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালত। দ্বিতীয় দফায় চলমান অভিযানে প্রায় অর্ধশাতাধিক মামলা ও প্রায় নব্বই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকলকে সংশ্লিষ্ট আইন ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তারিফ-উল-হাসান।