
আকবর হোসেন, তালা:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মৎস্য অফিসার স্নীগ্ধা খা বাবলির বিরুদ্ধে লক্ষধিক টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, তালা মৎস্য অফিস কর্তৃক ২৪টি সি আই জি সমিতির অনুকুলে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্ধ হয়। প্রতিটি সমিতির অনুকুলে বরাদ্ধকৃত ২০হাজার টাকা দিয়ে মাছ, মাছের খাবার এবং সাইন বোর্ড ক্রয় করে বিতরন করা হবে মর্মে উল্লেখ করা হয়। ১৮মে ২০২০ তারিখ মৎস্য অফিসার স্নীগ্ধা খা বাবলি ২৪টি সমিতির অনুকুলে ৩লক্ষ টাকা মুল্যের মাছ,মাছের খাবার এবং সাইন বোর্ড ক্রয় করে সমিতির সদস্যদের মাঝে বিতরন করেন। ১৭% টাকা আয়কর ও ভ্যাট বাবদ ৮১৬০০ টাকা ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। আয়কর ও ভ্যাটসহ সর্বমোট খরচ হয়েছে ৩লক্ষ ৮১হাজার ৬শত টাকা। বাকী ৯৮ হাজার ৪’শ টাকা মৎস্য অফিসার আত্মসাৎ করেছে বলে জানাগেছে। খরচের বিবরনে নাম না বলার শর্তে সমিতির একাধিক সদস্য বলেন, প্রতিটি সিআইজি সমিতিকে ১মন রুই মাছ বিতরন করা হয়েছে যার সর্বোচ্চ বাজার মুল্য ৬হাজার টাকা এবং ৮বস্তা কার্প মেঘা ফিস মাছের খাবার যার বাজার মুল্য ৬হাজার টাকা এবং প্রতিটি সাইন বোর্ড তৈরীতে ব্যায় হয়েছে ৫’শ টাকা। সর্বমোট ব্যায় ১২৫০০ টাকা ৷ প্রতিটি সমিতির নামে মোট বরাদ্ধ ২০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ২৪টি সমিতি হতে ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মৎস্য অফিসার স্নীগ্ধা খা বাবলির বিরুদ্ধে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মৎস্য অফিসার স্নীগ্ধা খা বাবলি বলেন, ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে আয়কর ও ভ্যাট বাবদ ১৭% টাকা অর্থাৎ ৮১৬০০ টাকা জমা করা হয়েছে। এরপর বাকী ৯৮৪০০ টাকার খরচ হিসাবে তিনি বলেন, প্রতিটি সমিতিতে নমুনায়ন পরিদর্শন করার জন্য ১হাজার টাকা খরচ হবে। এছাড়া বিল ছাড় করতে করতে একাউন্ট অফিসে ৫% টাকা এবং অডিট বাবদ ৫% টাকা দিতে হবে। এতকিছু দেখানোর পরেও বাকী অর্ধ লক্ষ টাকার কোন হিসাব তিনি দেখাতে পারেন নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেন বলেন, আগামীকাল বিষয়টি নিয়ে মৎস অফিসারের সাথে বসব। এর পরে আপনাকে জানাতে পারবো ।