
আকবর হোসেন, তালা: তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের বালিয়াদহ গ্রামের মৃত মোহর আলী ফকিরের পুত্র সোবহান ফকির (৬৮) গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে দড়িতে ঝুলে থাকা অবস্থায় লাশের পায়ে জুতা পরিহিত এবং পা মাটিতে লেগে থাকায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্নহত্যা তা নিয়ে নানান জল্পনা কল্পনা সৃষ্টি হয়েছে জনমনে।
এবিষয়ে মৃত সোবহান ফকিরের ভাইপো মোজাহার আলী ফকির এর পুত্র আব্দুস সবুর ফকির (৫৩) জানান, ২১ জুলাই সকাল ৬টার দিকে তিনি মাঠে যাওয়ার সময় একই এলাকায় খালের পাড়ে সজিনা গাছের সাথে তার চাচা সোবহান ফকিরের গলায় দড়ি দেয়া অবস্থায় লাশ দেখতে পায়। তবে তার পা মাটিতে লাগানোসহ হাটু ভাজ করা ছিলো এবং পায়ে জুতা ছিলো। মাটিতে পা বাধানো এবং জুতা পায়ে নিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। সংবাদ লেখা পর্যন্ত গাছের সাথে লাশ গলায় দড়ি পরানো অবস্থায় ছিলো।
এবিষয়ে, বালিয়াদহ এলাকার গ্রাম্য পুলিশ আতিয়ার রহমান (৫০) বলেন, আমি শুনেছি মৃত সোবহান ফকির তার ভাইপো মোজাহার আলী ফকির এর পুত্র মো: সাইদুল ফকির এর নিকট আড়াই লক্ষাধিক টাকা পেত। কিছু দিন আগে গরু বিক্রি করে ৫২ হাজার টাকা সাইদুলের কাছে রেখেছিলো। সোবহান ফকিরের স্ত্রী ২/৩ মাস আগে মারা গেছে। সাইদুলের কাছে রক্ষিত গরু বিক্রির ৫২ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে সোবহান ফকির তার বাড়ীর পাশের মসজিদে ৫ হাজার টাকা দান কেও এবং বাকী ১০ হাজার টাকা মৃত স্ত্রীর চল্লিশা পালন করে। স্ত্রী মারা যাবার পর মানুষিক কষ্টে ভুগলিছ সোবহান ফকির।
এ বিষয়ে তালা থানার এস আই আলমগীর হোসেন বলেন, বলিয়াদাহ গ্রামের আত্মহত্যার বিষয়টি আমি শুনেছি। এবিষয়ে কেউ মামলা করলে তদন্ত করা হবে।