নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার তালা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী সুধাংশুর বিরুদ্ধে ও.এম.এস, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি এবং টি.সি.বির ডিলারদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ডিও করার সময় ঘুষ দাবীর অভিযোগ উঠেছে । এছাড়া খাদ্য বান্ধব লাইচেস্ন এর নামে ডিলারদের কাছ থেকে পনেরো বিশ হাজার করে হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভু্ক্তভোগীরা । একই কর্মস্হলে এক যুগের বেশি সময় থাকায় তার বদলীর দাবি জানিয়েছেন তারা ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে , সুধাংশু নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ না করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস করে। সেই সুবাদে অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে যাবতীয় ঘুষ লেনদেনের কাজে ব্যাস্ত থাকেন তিনি। এভাবে সে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়েছেন বলে জানান খাদ্য বান্ধব এবং টি.সি.বির ডিলাররা ।নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেও পাটকেলঘাটায় অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। কিনেছেন পাটকেলঘাটায় কোটি টাকার বাড়ি ও তিন জায়গায় জমি। এ যেন গরীবের ঘরে আলাদিনের চেরাগ ।
নাম না জানানোর শর্তে তালার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কয়েকজন ডিলাররা জানান, প্রতিমাসে ডিও করার সময় দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা দাবী করেন সুধাংশু।।সব সময় টাকা দিতে না পারলে ডিলারদের ভয়ভিতি দেখিয়ে ডিলার বাতিল করার হুমকি দেন তিনি । প্রয়োজনে ওজনে কম দিয়ে সেই টাকাটা মাসিক হিসাবে বরাদ্দ রাখার কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি । বিগত আওয়ামী লীগের আমলে সবাই এমন ভাবে সবাই চলতো আমাদের সাথে সেই ধারাটা অব্যাহত রাখার কথা বলতে থাকেন সুধাংশু ।
তারা আরো বলেন, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমল থেকে তালা উপজেলা ওএমএস আমাদের ডিও করার সময় মোটাংকের টাকা নিয়ে আসছেন সুধাংশু । বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকার পতন হ্ওয়ার পর থেকে সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে । প্রতিমাসে মোটা টাকা ঘুষ না দিলে তার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা কোন ডিলার । ঘুষের টাকার একভাগ চলে যাচ্ছে জেলা ও উপজেলার অসাধু কর্মকর্তাদের কাছে আর বাকি টাকা সুধাংশুর পকেটে । একই কর্মস্থল এক যুগের বেশি সময় ধরে থাকার সুবাদে কামিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা । কিনেছেন বিলাস বহুল বাড়ি সহ পাটকেলঘাটা বাজারে কয়েকশতক আকারে তিন প্লটে জমি । একজন নিরাপর্তা প্রহরী হিসাবে সে এত বিপুল পরিমান সম্পাদের মালিক হ্ওয়ার রীতিমত হতভাগ হয়েছেন অনেকে । অচিরে এই চাঁদাবাজ সুধাংশুর বদলি দাবি জানিয়েছেন তারা ।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত নৈশ প্রহরী সুদাংশুকে মুঠোফোনে না পেয়ে তালা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাজারুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানিয়েছেন , সুনিদৃষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে নেওয়া হবে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা ।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রানী সরকার জানান, আমি নতুন এসেছি, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছি । তবে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।