নব কুমার দে, তালা: তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের মাছিয়াড়া গ্রামের শিমুল মোড়লের বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগ উঠেছে। ১৩ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল ১১ টায় সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় যে,জুয়া খেলে লাখ লাখ টাকা নষ্ট করেছেন স্বামী। তাই জুয়ার টাকা যোগান দিতে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করেন স্বামী। এজন্য জুয়া খেলার প্রতিবাদ করেন স্ত্রী। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী শিমুল মোড়লের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। রোমানা বেগম জানান- মারধরের সময় আমার একমাত্র শিশুকন্যা নুসরাত মাঝে মধ্যে বাবার হাত থেকে আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করতো। এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমি আর মেয়ে আমার বাবার বাড়িতে চলে আসি। আমার মেয়ে মাঝিয়াড়া নুরানি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে এই সূএ ধরে আমার স্বামী আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয় মাদ্রাসা থেকে মেয়েকে নিয়ে গুম করে তোর নামে গুম মামলা করবো। রোমানার মা রাবেয়া জানান- আমার মেয়ের জামাই শিমুল দীর্ঘদিন ধরে আমার মেয়ের সাথে যৌতুকের টাকা দাবি করে খুবই খারাপ আচরণ ও মানসিক শারীরিক নির্যাতন করে। পরে এক পর্যায়ে মেয়ে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি। এর ওই সূত্র ধরে দুই ভাই সবুজ মোড়ল ও শিমুল মোড়ল তাদের পিতা-লোকমান মোড়ল, গত ১০ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে উল্লেখিত শিমুল মোড়ল পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে লোহার রড, বাঁশের লাঠি ইত্যাদিতে সজ্জিত হইয়া তালা থানাধীন মাছিয়াড়া গ্রামস্থ বাদমতলার মোড় নামক স্থানে জনৈক ইব্রাহিম এর চায়ের দোকানের সামনে রাস্তার উপর এসে আমার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। ঐ সময় আমার স্বামী আসামীদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে উল্লেখিত মেয়ের জামাই, ভাই, শশুর আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে। সবুজ মোড়ল আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া বাড়ি মারিলে বাড়িটি লক্ষ্য ভ্রষ্ট হইয়া আমার স্বামীর গালে লাগিয়া সামনের দুইটি দাঁত নড়িয়া গুরুতর জখম হয়। বিষয়টি নিয়ে তালা থানায় একটা লিখিতভাবে এজাহার দায়ের করি। তালা খলিলনগর ক্যাম্প ইনচার্জ সূত্রে জানা যায় বিষয় টা নিয়ে ইতিপূর্বে তালা থানায় একটা মামলা হয়- যার মামলা নাম্বার- ৭ তারিখ-১৩/১০/২০২৩।