
#প্রতারনার শিকার মনিরুল ইসলাম গাজী সহ গৃহছাড়া অনেকে
তালা থেকে ফিরে ফেরদৌস আলম: পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এম.এল (জনযুদ্ধ),র নেতা ফারুক জোয়াদ্দারের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ উঠেছে। মানবপাচারের নামে ২ কোটি টাকা প্রতারনার মাধ্যমে আত্নসাৎ করেছেন তিনি। ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলাম আতঙ্কিত ভাবে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তারা এক্ষণে মুখ খুললে তাদের গ্রুপের ৩৩ জনের টাকা ফেরৎ দিবে না বিদেশে পাঠাবে না মর্মে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ফারুকু জোয়াদ্দার প্রতারণা মূলক কোটি কোটি টাকা আত্নসাৎ করেও রয়েছেন বহাল, তবিয়াতে দেখার কেউ নেই।
তালার উত্তর আটারই গ্রামের আব্দুল গফফার গাজীর ছেলে মনিরুল ইসলাম গাজী মোবাইল ফোনে জানান, তার নিকট থেকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ফারুক জোয়াদ্দার প্রতারনা করে ৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছে এই টাকার মধ্যে বিভিন্ন সময় ২ লক্ষ ২ হাজার টাকা ফেরৎ দেন ফারুক জোয়াদ্দার। তার ফুফাতো ভাই সুভাশুনি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোড়লের ছেলে জুবায়ের মোড়লের কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নেয়। এমনি ভাবে ৩৩ জনের কাছ থেকে আনুমানিক ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। তার মধ্যে ৫ জনকে বিদেশে পাঠিয়েছে বাকি ২৮ জনের মার্চের ১০ তারিখের মধ্যে বিদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পরস্পর লোক মুখে শোনা গেছে ফারুক জোয়াদ্দার টাকাও ফেরৎ দিবে না বিদেশেও পাঠাবে না। ফারুক জোয়াদ্দার তাদের টাকা দিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করে আনিশা ক্লিনিক নাম দিয়ে ব্যবসা করছেন। তারা এনজিওর কিস্তি নিয়ে জমি-গরু-ছাগল বিক্রি করে টাকা দিয়েছিল ফারুক জোয়াদ্দারকে। দেনার বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে কুষ্টিয়া খোসকা থানার ইটের ভাটার মালিক তুহিন সাহেবের ইটের পোড়ায় মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করে কোন রকম স্ত্রী-সন্তানদের মুখে আহার তুলে দিচ্ছেন। এমনি ভাবে ফারুক জোয়াদ্দারের প্রতারণা মূলক অর্থ আত্নসাৎতের কারণে ২৮ টি পরিবার পথে বসেছে।
তথ্য বলছে, উক্ত ফারুক জোয়াদ্দার পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এম.এল(জনযুদ্ধ) সাথে যুক্ত ছিল। পুত্রের জীবন রক্ষার্থে তার পিতা আমির মাস্টার তাকে বিদেশে মালায়েশিয়া পাঠিয়ে দেন। ২০২২ সালে দেশে ফিরে তৎকালীন সরকারের নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে দাপিয়ে বেড়িয়। বর্তমান ৫ ই আগস্ট দেশের একটি পট পরিবর্তনের দিন মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম সিরাজ উদ্দীনের ৪ টি পাকা দোকান ভেঙ্গে নিশ্চিন্ন করে দেয় এবং নগত টাকা সহ ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে তালাবাসীর নজরে এসে তার ভাব খানা এমন দেখায় যে সে বিএনপির তালার কর্ণধর বনে গেছেন। তার এমন আচারণে বিএনপির ভাব মূর্তি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকলে এক পর্যায় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাংবাদিকেদের নিকট স্ট্রেটমেন্ট প্রদান করেন, ফারুক জোয়াদ্দার বিএনপির কেউ নন। সে নিজেকে রক্ষা করতে তালা প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহারে মহামান্য হাইকোর্টর নিষেধাজ্ঞা ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কতৃক বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পত্র প্রেরণ নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তিগন একত্রে মিলে ১২.০২.২৫ তারিখ সাতক্ষীরার দক্ষিণের মশাল পত্রিকার কার্ড ফেসবুকে প্রকাশ করে ১৪ ই ফেব্রুয়ারী তালা প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে স্বঘোষিত সভাপতি ও সেক্রেটারী হয়ে একটি কমিটি অনলাইনে প্রচার করে সাংবাদিক বনে যান।