নজরুল ইসলাম, তালা: তালার পল্লীতে ভাসুরের ছেলে কতৃক দীর্ঘদিন যাবত কুপ্রস্তাব ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে প্রতিবাদ করায় বিবস্ত্র করে মারপিট ও কুপিয়ে রক্তাক্তের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় আহত দুই জন তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতরা হলেন, তালার খানপুর গ্রামের সম্ভু দাশের স্ত্রী রোজিনা দাশ মারাত্নক আহত ও কালিপদ দাশের ছেলে প্রকাশ দাশ মাথায় কুড়ালের আঘাতে ৮ টি সেলাই নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৪) জুলাই গভীর রাতে তালা উপজেলার খানপুর গ্রামের সম্ভু দাশের স্ত্রী রোজিনা দাশ কে বড় ভাই আকাশ দাশের কে ছেলে বিজয় দাশ (১৫) জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। আপন কাকীকে ভাসুরের ছেলে ধর্ষণ চেষ্টা করায় মানসম্মানের দায়ে এড়িয়ে যান রোজিনা। কিন্তু ভাসুরের ছেলে বিজয় পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করলে বিষয়টি আর লোকচক্ষুর আড়ালে না রেখে প্রকাশ্য চলে আসে। এই বিষয় নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ছোট ভাইয়ের বৌ ভাসুরের কাছে নালিশ করেন। ভাসুর কালীপদ দাশের ছেলে আকাশ দাশ বিষয়টি আমলে না নিয়ে বৌ সিতা দাশ ও ছেলে বিজয় দাশকে ডেকে বৌমা রোজিনা দাশকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারপিট করেন। মারপিটের সময় ছোট দেবর কালীপদ দাশের ছেলে প্রকাশ দাশ বাধা প্রদান করিলে আকাশ দাশের বৌ সিতা দাশ দেবর প্রকাশ দাশকে কুড়াল দিয়ে সজোরে আঘাত করেন। এতে দেবর প্রকাশ দাশ মাথায় মারাত্নক ক্ষত হলে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। ভুক্তভোগী রোজিনা দাশ জানান, আমার ভাসুরের ছেলে বিজয় দাশ প্রায় আমাকে কুপ্রস্তাবসহ ধর্ষণের চেষ্টা করতো। বিষয়টি আমি ভাসুর কে জানালে ভাসুর বৌ ও তার ছেলে আমাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারপিট করে। আহত প্রকাশ দাশ বলেন, বৌদিকে মারপিট করছে এমন খবর শুনে আমি ঠেকাতে গেলে বড় দাদা ও তার ছেলে আমাকে মারতে উদ্যত হয়। এসময় বড় বৌদি সিতা দাশ দেশীয় কুড়াল দিয়ে মাথায় মাঝ বরাবর আঘাত করেন। এতে মাথায় মারাত্নক ক্ষত হয়েছে। এবিষয়ে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম জানান, থানায় এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবো।