
তালা অফিস থেকে নজরুল ইসলামঃ
তালার নাংলা গ্রামে জায়গাজমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাশেদ খান মিলন (৩৩)কে রক্তাক্ত জখম ও তার চাচাতো ভাইকে বেধড়ক মারপিট এবং মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা আবুল হোসেন শেখ বাদী হয়ে তালা থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহারকৃত আসামীরা হলেন, তালা উপজেলার ইসলাকাটি ইউনিয়নের নাংলা গ্রামের ১. মোসলেম শেখের পুত্র মাহিন শেখ (১৯), ২. আব্দুল মান্নান শেখের দু,পুত্র তৈয়েবুর রহমান কাজল (২০), ৩. ইদ্রিস হোসেন নয়ন (২২), ৪. ইব্রহিম শেখের দু,পুত্র মিঠু শেখ (৪০), ৫. সোলাইমেন শেখ (৪০) সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন।
এজাহার ও থানা সূত্রে জানাযায়, উপরক্ত আসামীদের সহিত দীর্ঘ দিন যাবৎ নাংলা গ্রামের আবুল হোসেন শেখ এর জায়গাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত মঙ্গলবার রাত্র আনুমানিক ১২টা ৩০ আবুল হোসেন শেখের পুত্র রাশেদ খান মিলন (৩৩) তার বোনের বাড়ি হতে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্য নাংলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পৌছালে তার আপন চাচাতো ভাই এস.এম রোকেনুজ্জামান (২৯) এর সাথে দেখা হয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে রাশেদ বাড়ির অভিমুখি রওনা হয়ে রাত্র আনুমানিক ১২ টা ৪৫ মিনিটের দিকে নাংলার শায়েরের তিন রাস্তার মোড়ে আসেন। সেখানে ওৎ পেতে থাকা আসামীরা গতিরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত প্রতিবাদ করায় দা দিয়ে রাশেদের মাথা মাঝখানে হত্যার লক্ষ্য কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় আসামীরা লোহার রড হাতুড়ি ও তাল কাঠের লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এসময় এস.এম রোকেনুজ্জামান (২৯) তার চাচাতো ভাইকে রক্ষা করতে আসলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য শ^াসরোধ করার চেষ্টা করে। এবং রাশেদের কাছে থাকা স্যামসাং ফোন দাম ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা চুরি সহ তার হাতে থাকা এ্যাপল ঘড়ি যার দাম ৫৬ হাজার টাকা ভাংচুর করে ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করে। রক্তাক্ত জখম হওয়া রাশেদ বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনা ভুক্তভোগীর পিতার দায়েরকৃত এজাহার তালা থানায় রেকর্ড হয়েছে। মামলা নং- ১/৭৮ তারিখ ১২ জুন ২০২৫।
এ বিষয়ে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শাহিনুর রহমান জানান,ভুক্তভোগীর পিতার দায়েরকৃত এজাহার রেকর্ড অন্তে আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য থানা পুলিশের অভিযান অব্যহত আছে।