নজরুল ইসলাম, তালা: মানসিক বিকারগ্রস্ত হওয়ায় সম্ভাবত বিবাহ হয়নি পরিচায়হীন পাগলী যুবতী (১৮)। তবে বিবাহ না হলেও হয়ত কোন নরপশুর অত্যাচারে সেই পাগলীটি গর্ভবতী হয়ে অবশেষে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু ওই সন্তানের পিতা হলেন না কেউ? মানবিকতা আজ বিপন্ন হয়েছে! বতর্মানে সুস্থ নবজাতক সন্তান ও পাগলী মা তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে নবজাতক শিশু ও পাগলী মাকে দেখতে উচ্ছুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন যাবত গর্ভবতী পরিচায়হীন এই পাগলী মা তালা উপজেলার খলিশখালী ইউনিয়নের তফসিল অফিস নামক এলাকায় প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিল। বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসীর নজরে আসলে গত ৩ ই নভেম্বর তালার সেচ্ছেসেবী সংগঠন “ সহানূভূতি” কে অবহিত করেন। পরে উক্ত সংগঠন স্থানীয় গ্রাম পুলিশদের সহযোগীতায় ওই পাগলিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। দীর্ঘ নয় দিন হাসপাতালে থাকার পর গত ১২ নভেম্বর পাগলী মা একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানেন জন্ম দেন। তবে বর্তমানে মা ও নবজাবক শিশু সন্তানটি সুস্থ রয়েছেন। কিন্তু ওই পাগলীর পরিচয় কি? এ শিশুর পিতৃপরিচয় কি? তা বলতে পারেনি কেউ। তাই এখন সাধারণ মানুষের প্রশ্ন হলো পাগলিটা মা হলেও নবজাতক ছেলে সন্তানটির পিতা কে? এদিকে, পাগলের মা হওয়ার কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিকরা খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে হাজির হন।
‘সহানুভূতি তালা’ সংগঠনের সভাপতি আব্দুল আলিম বলেন, বর্তমানে ওই পাগলি মাসহ নবজাতক ছেলে সন্তানটি হাসপাতালের কতর্বরত চিকিৎসকরে নিবিড় পর্যবেক্ষণে সুস্থ আছেন। পাগলী ও নবজাতক ছেলে সন্তানটির সর্বক্ষণ খোজঁখবর রাখছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার,উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সহ আমরা। আমরা ছেলে সন্তানটির নাম রেখেছি আব্দুর রহমান। আর খবরটি জানা জানি হওয়ার পর থেকে অনেকে নবজাতক ছেলে সন্তানকে দত্তক হিসেবে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া শারমিন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন তিনি। তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে এবং কেউ যদি এই নবজাতক শিশুটিকে দত্তক নিতে চায় সেক্ষেত্রে তাদেরকে জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। যাচাই-বাছাই অন্তে নবজাতক শিশুটিকে দত্তক পিতা-মাতার কাছে হস্তান্তর করা হবে।