প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ৪:১১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৮, ২০২৫, ৯:৪৯ অপরাহ্ণ
তালায় আওয়ামী পন্থী সার ডিলার সিন্ডিকেটের কবলে কৃষক দিশেহার
শেখ সাব্বীর হোসেন ঃচলতি রোপা আমনের ভর মৌসুম ঘিরে গোটা উপজেলা সহ জেলা ব্যাপি বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের নিযোগকৃত বিসিআই ও বিএডিসি সার ডিলার সিন্ডিকেটে কৃষকরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। দুর্নীতিবাজ এসব আওয়ামী পন্থি ডিলার সর্বত্র সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি করছেন। এতে করে একদিকে কৃষক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাশাপাশি আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে বলে ভুক্তভোগী কৃষকদের আশঙ্কা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে স্বল্প এবং দীর্ঘমেযাদী বিভিন্ন প্রজাতির ধান আবাদ করা হযেছে। এ বছর উপজেলা ১০ হাজার ১শত ৭২ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ নির্ধারণ করা হয়। ফলন ধরা হযেছে ৪৫ হাজার ৩শত ৩০ মেট্রিক টন আর
উৎপাদন চাউল আকারে ৩০ হাজার ১১৮ মেঃ টন নির্ধারণ করা হযেছে তথ্যানুসন্ধান কালে বলরামপুর গ্রামের কৃষক জাহঙ্গীর আলম, রাড়ীপাড়া গ্রামের শাহিনুর রহমান, আব্দুল গক্ষার আমজাদ আলী, আচিমতলার মকবুল হোসেন, মানিকহার গ্রামের মোয়াম্মেল হোসেন, সরুলিয়ার নুরুল ইসলাম, দাদপুর গ্রামের আসাদ শেখ, আনারুল ইসলাম, শাহাবান আলী, কুমিরা গ্রামের শিমুল দাশ, কওছার মোড়ল, সঞ্জয় দত্ত, মনা বসু, মনোহরপুর গ্রামের রেজাউল ফকির, যুগিপুকুরিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান, সেনুর গ্রামের আবু হেনা আলম সহ শতাধিক কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে উপজেলায ১২টি ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। দলীয় পরিচয়ে দুই একজন ছাজ্য সকলে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসাবে পরিচিত। বর্তমান সরকার কৃষি খাতে সর্বোচ্চ ভর্তুকের ব্যবস্থা রাখলেও সার ডিলাররা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারকে বেকায, দায় ফেলানোর পাযতারা লিপ্ত রযেছে। নতুন সার বিতরণ সংরক্ষন বিক্রয় নীতিমালা বাস্তবায়নে এমন দুর্নীতি পরায়ন স্যার ডিলারশীপ বাতিল করে সৎ এবং ভালো মানুষের নিয়োগ দিয়ে কৃষিতে সাফল্য ফিরে আসবে বলে ভক্তভোগী কৃষকরা জানিয়েছেন। তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায় যে দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে এসব ডিলাররা সা র নিয়ে নানাভাবে কৃষকদের হয়রানির পাশাপাশি অধিক মূল্যে বিক্রয় করে কালো টাকার পাহাড় জমিয়েছেন। সাতক্ষীরা জেলায় বিসিআইসি সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু আর তার যোগ্য ভাতিজা কেশব লাল সাধু বিএডিসি স্যার অ্যাসোসিযেশনের সভাপতি। দুই সাধু মিলে জেলা ব্যাপি সারের নিয়ন্ত্রনে থেকে অসাধু কারবার চালিযে যাচ্ছেন। এছাড়া ভাতিজা কেশব সাধুর বিরুদ্ধে কীটনাশক বীজসহ অন্যান্য কৃষি পন্য আমদানি কারে কালো বাজারে অধিক মূল্য বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। একাধিকবার উপজেলা প্রশাসনকে
জানিয়ে ও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। প্রশাসনের জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েই শেষ।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, অসাধুসার ব্যবসায়ী কেশব লাল সাধু বিভিন্ন বিসিআইসি সার ও গোডাউন ভাড়া নিয়ে গোপন গো ডাউন করে সার মজুদ রেখে দ্বিগুণ দামে কালো বাজারে বিক্রি করে কোটিপতি বনে গেছে। এসব যেনো দেখার কেউ নেই, নেই কোন তদারকি। তিনি একাই গোটা উপজেলার সার সিন্ডিকেটের হোতা হিসেবে পরিচিত। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে পরিবারের ৬/৭জনের নামে বেনামে সার ডিলার নিযোগ দিয়ে ১৮ থেকে ২০ বছর ধরে সারের নিন্ত্রণ করছেন। এতে করে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের নানা ভাবে হয়রানি সহ আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি উৎপাদন ব্যহত হওযায় ধীরে ধীরে কৃষকেরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরও কোনো প্রকার আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ভুক্তভোগী কৃষকরা বিষয়টি কৃষি উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Copyright © 2025 দৈনিক সাতনদী. All rights reserved.