হাবিবুর রহমান: তালাজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইমার্জেন্সি টিম। যে কোন ধরনের তড়িৎ হামলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপ‚র্ন ভ‚মিকা পালন করে টিমটি। তাদের দাপটে মুক ও বধিরের ভ‚মিকা পালন করে তালাবাসী।
তালা উপজেলাব্যাপী দাপিয়ে বেড়ায় দখলবাজদের ইমার্জেন্সি টিম। গোলজার পুরো বাহিনীর নেতৃত্বে থাকলেও ইমার্জেন্সি টিমের দায়িত্বে আছে সরদার ফারুক। সরদার ফারুকের নেতৃত্বে ইমার্জেন্সি টিমের প্রধান সদস্যরা হলো প‚র্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির জনযুদ্ধের সদস্য ও সরকারের কাছে আত্মসমর্পন করা শিমুল সানা, তালা উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান ডানলপ, বারুইআটি গ্রামের শিমুল মোড়ল, শফিকুল ইসলাম সরদার, আনিস সরদার, মোজাহিদ পাল তালার খাজরাকাটি গ্রামের আলামিন, তুহিন শেখ, খানপুর গ্রামের লাভলু সরদার, শাহাজান সরদার, জিয়ালা নলতার জিয়া নিকারী। বাকি সদস্যরা ১২টি ইউনিয়ন জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। মোটরসাইকেল ও দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত বিশেষায়িত গ্রুপটিকে সমীহ করে চলে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। অপরগ্রুপটি জমি দখলের সময়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে। ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চলা এ টিমের আখড়া তালা উপজেলা হাসপাতাল রোড়ের আব্দুর রাজ্জাকের ডেকোরেটর দোকানে।
তাদের প্রধান কাজ হলো গডফাদার ও তার শীর্ষ নেতাদের যেকোন নির্দেশনা তড়িৎ বাস্তবায়ন করা। কেউ গডফাদার ও শীর্ষ ভ‚মিদস্যুদের বিরুদ্ধে কথা বললেই ১০ মিনিটের মধ্যে এই টিম হাজির হয়ে যায় তার কাছে। চলে দেশিয় অস্ত্রে অভিনব কায়দায় নির্যাতন। ফলে স্বাধীন রাষ্ট্রের জনগন হয়েও বাক স্বাধীনতা নেই তালাবাসীদের।
প্রতিনিয়তই কোননা কোন ব্যক্তি তালায় এই ইমার্জেন্সি টিমের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ঘটনা হলো খানপুরে জুধিষ্টিরের বাড়ি হামলা, মুড়াকালিয়া গ্রামের ফতেমা বেগমের বাড়িতে হামলা। এ ছাড়াও এ বাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে জখম হয়েছেন শিবপুরে আশরাফ খাঁ, আটরইর মোজাম্মেল হক মোড়লকে পিটিয়ে মৃত ভেবে পানিতে ভাসিয়েদেয়, খানপুরের গফুর সরদারকে জখম করে তার ঘের কেটে মাছ বের করে দেয়। অপরদিকে তালার চাঞ্চল্যকর লুৎফর নিকারি হত্যার সাথে জড়িত আছে এই টিমের জিয়া নিকারী। আরও অসংখ্য হামলার ঘটনা ঘটেছে যা ভিকটিমরা বলতে ভয় পান।