স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোতের্জা আলমের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে গিয়ে বেড়িয়ে এসেছে অন্তরালের খবর। একজন দক্ষ শিক্ষককে বলির পাঠা বানানোর জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির ষড়যন্ত্র প্রকাশ পেয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মনিরুল ইসলামের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে সহকারী শিক্ষক মোর্তেজা আলমকে ছাত্রীকে দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। সহকারী শিক্ষক মোতের্জা আলমের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, নিয়োগের সময় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ১৫-১৬ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। এরপরেও প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি তার কাছে আরো টাকা দাবী করেন। পরবর্তীতে আর কোন টাকা না দেওয়ায় প্রতিনিয়ত নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এসব ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সহকারী শিক্ষক মোতের্জা আলমের বিরুদ্ধে ছাত্রী নিপীড়নের মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানী করা হয়েছে। ঘটনা সূত্রে জয়না যায়, অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোতের্জা আলম দীর্ঘ দিন ধরে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছিল। সেই সূত্র ধরে মাগুরা এলাকার মো. আজিজুল ইসলামের মেয়ে অত্র স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ঐ শিক্ষকের নিকট অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ২১ মে প্রাইভেট পড়া শুরু করে কিন্তু ২২ মে দশম শ্রেণির ছাত্রী শিক্ষক মোর্তেজা আলমের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের লিখিত অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নিকট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, শিক্ষক মোর্তেজা আলম ষড়যন্ত্রের স্বীকার এবং দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সাথে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থাকায় তার বিরুদ্ধে একটি চক্র ষড়যন্ত্রের পায়তারা চালাচ্ছে। শিক্ষকরা আরো জানান, যে ছাত্রী অভিযোগ করেছেন ঐ ঘটনার একদিন আগেই সে পড়তে যায়। অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর সাথে পড়তে যাওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ঘটনার দিন প্রাইভেট পড়ে এক সঙ্গে আমরা ১২/১৩ জন শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু পরে শুনি সে মোর্তেজা আলম স্যারের নামে অভিযোগ করেছেন। শিক্ষক মোর্তেজা আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার সাথে অত্র বিদ্যালয়ের দু/ একজন ব্যক্তির সাথে বিরোধের কারনে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনের মতো শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়া শেষে এক সাথে চলে যায়, এর বেশি কিছু ঘটেনি। পরে শুনলাম ওই শিক্ষার্থী আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। তিনি বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। এব্যাপারে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সচেতন এলাকাবাসী।