ডেস্ক রিপোর্ট:
ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত ভাবে হত্যার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) এ কর্মসূচি পালিত হয়। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: শ্যামনগর থেকে এস কে জানান, সকাল ১০টায় শ্যামনগর পৌরসভার সদরে অবস্থিত লোকাল বাস স্ট্যান্ড চত্বরে সাতক্ষীরা উলামা পরিষদ ও উপজেলা উলামা পরিষদের যৌথ আয়োজনে উপজেলা উলামা পরিষদ সাধারণ সম্পাদক জামেআ হাম্মাদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মাওছুফ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা উলামা পরিষদের সহ-সভাপতি ও শ্রীফলকাটী দাওরা হাদিস মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি জিয়াউর রহমান। শাহী মসজিদ মাদ্রাসার সদস্য সচিব মাওলানা মুজিবুর রহমান, খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি মুহাদ্দিস মোস্তফা কামাল,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা শাখার সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক, আল-খিদমা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাফেজ মোখলেছুর রহমান সহ বিভিন্ন এলাকায় ওলামা একরাম। এসময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক,ছাত্র,তাবলীগের জমায়েতের শত শত সদস্য ও ভক্তবৃন্দ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষ উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
আশাশুনি উপজেলা: আশাশুনি সংবাদদাতা জানান, ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত ভাবে হত্যার বিচারের দাবিতে আশাশুনিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০.৩০ টায় উপজেলা সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা উলামা পরিষদ আশাশুনি থানা শাখা ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আশাশুনি উলামা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওঃ মুনছুর আহমেদ। হাফেজ জায়েদ আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওঃ মুফতি জায়েদ আব্দুল্লাহ, আঃ আজীজ, ক্বারী মোঃ কাইকাউস, মানছুরুল হক, মুফতি শাহ জালাল, মাওঃ মারুফ বিল্লাহ, মাওঃ মাহদী হাসান, নাজমুল আহসান প্রমুখ। আশাশুনি থানা জিম্মাদার সাজ্জাদুল হক লাভলুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, টুঙ্গী ইজতেমা মাঠে আমাদের সামান্য সংখ্যক কর্মীরা যখন ঘুমের মধ্যে ছিল, তখন নোয়াখালী, সিলেটসহ কিছু এলাকার টোকাই সন্ত্রাসী নিয়ে হাজাররহাজার উগ্রবাদী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৪ জনকে শহীদ করা হয়। বহুজনকে আহত করা হয়। জঘন্যভাবে হামলাকারী ও হত্যাকারীরা ইসলামে দাঈ হতে পারেনা। আমাদের এক দফা এক দাবী সাদ গ্রুপ দাওয়াতী তাবলীগের নাম নিয়ে দেশের কোন মসজিদে করতে না পারে সেজন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সকল তৌহিদী জনতার সহযোগিতা ও সজাগ থাকার আহবান জানান।
কলারোয়া উপজেলা: কলারোয়া থেকে কামরুল হাসান জানান, রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় উলামা পরিষদ, কলারোয়া শাখার আয়োজনে প্রেস ক্লাবের সামনে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত মুসল্লিরা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘সাদিয়ানীর আস্তানা, এই বাংলায় থাকবেনা’, ‘কাদিয়ানী গেছে যেই পথে, সাদিয়ানী যাবে সেই পথে’, ‘খুনি কখনো দ্বীনের দ্বায়ী হতে পারে না’, ‘যে হাত অস্ত্র ধরে, সে হাত ভেঙে দাও’, ‘ঠাঁই নাইরে ঠাঁই নাই, এতায়াতিদের ঠাঁই নাই’, ‘সাদপন্থীদের হটাও, দ্বীন বাঁচাও’, ‘তাবলীগের নামে সাদিয়ানী ফেতনা বন্ধ কর, করতে হবে’, বলে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে উগ্র সন্ত্রাসী সাদপন্থিদের অতর্কিত ও বর্বরোচিত হামলায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আমাদের আরও শতাধিক সাথী। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সাদপন্থিদের নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই সাদপন্থিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছিলো। এটা আর হতে দেওয়া হবে না। যারা ইসলামের কটুক্তি করে তারা আওয়ামী লীগের দালাল। অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে, অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি প্রদান করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন কলারোয়া ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মুফতি ইমরান হোসাইন, মাওলানা ওসমান গনি, মাওলানা আব্দুল রকিব হোসাইন, মাওলানা ইসমাইল হোসাইন, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা খাইরুল ইসলাম, ক্বারী ইসলাম হোসেন প্রমুখ। সর্বশেষ নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে মুফতি হাফিজুর রহমানের পরিচালনায় দোয়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পাটকেলঘাটা: পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) থেকে এস.এম মজনু জানান, রোববার সকাল দশটায় পাটকেলঘাটা পাঁচ রাস্তা মোড়ে মাওলানা মনিরুল হকের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুফতি আব্দুল্লাহ, মাওলানা মোশাররফ হোসেন, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, শিক্ষক হাফিজুর রহমান, মাও: কারী আব্দুল হামিদ, মাওলানা সাইফুল্লাহ, আসাদুজ্জামান প্রমুখ। পাটকেলঘাটা সিদ্দিকীয়া মাদরাসার মুহতামিম অনুষ্ঠানের সভাপতি মাওলানা মনিরুল হক বলেন সাদপন্থীরা আর কোন মসজিদে তাবলীগের কাজ করতে পারবে না। সাদপন্থী সন্ত্রাসী সংগঠন সরকারকে অবিলম্বে যারা তাবলীগের সাথীদের হত্যা করেছে তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তারা দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। যারা দেশকে অশান্ত করছে তাদের জায়গা ইজতেমা ময়দান বা কাকরাইলে হবে না। বিশ্ব ইজতেমা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মাও: ইমরান হোসেন। সবশেষে পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আশাশুনিকলারোয়াকালিগঞ্জডুমুরিয়াতালাদেবহাটানড়াইলপাটকেলঘাটাপ্রেস বিজ্ঞপ্তিবাণিজ্যবেনাপোলভোমরা স্থল বন্দরমণিরামপুরমনপুরামাহে রমজানযশোররাশিফলশার্শাশ্যামনগরসাতক্ষীরা জেলাসাতক্ষীরা সদরসারাদেশ