স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাই পারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে। আর সেক্ষেত্রে অন্যতম অনুষঙ্গ তথ্যের অবাধ প্রবাহ। তথ্য গোপন করার মধ্য দিয়ে দুর্নীতি ও অপশাসনের জন্ম হয়। এক একটি তথ্য প্রকাশের জন্য একটি সরকারেরও পতন হয়। এমন নজির বিশে^ অনেক আছে। তাই বলা হয় তথ্যই শক্তি। তথ্য অধিকার দিবসে বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ পরিপূর্ণভাবে প্রতিপালন হোক এ প্রত্যাশায় আজকের নিবন্ধ।
তথ্য অধিকার দিবসের প্রেক্ষাপট: ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বুলগেরিয়ার সোফিয়ায় অনুষ্ঠিত তথ্য অধিকার কর্মীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে প্রথম “আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস পালনের ঘোষণা আসে।' যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আসে ২০১৫ সালে ইউনেস্কোর ৩৮তম সম্মেলনে 'আন্তর্জাতিক সার্বজনীন তথ্য অধিকার দিবস' ঘোষণার মাধ্যমে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ এর ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে ২৮ সেপ্টেম্বরকে “আন্তর্জাতিক সার্বজনীন তথ্যে অভিগম্যতা দিবস” হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ বছর ইউনেস্কো দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য করেছে- “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ই-গভর্ন্যান্স ও তথ্যে অভিগম্যতা (অৎঃরভরপরধষ ওহঃবষষরমবহপব, ব-এড়াবৎহধহপব ধহফ অপপবংং ঃড় ওহভড়ৎসধঃরড়হ) বাংলাদেশ তথ্য কমিশন দিনটিকে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। এ বছর “তথ্য প্রযুক্তির যুগে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত হোক" এই প্রতিপাদ্যকে দিবসটির উপজীব্য করেছে তথ্য কমিশন।
তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯; সাংবিধানিক ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা: বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে" নাগরিকের চিন্তা, বিবেক ও বাক্-স্বাধীনতাকে অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ 'তথ্য অধিকার'। জাতিসংঘের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত সনদ ১৯৬৬ (অনুচ্ছেদ ১৯) এবং জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদসহ [অনুচ্ছেদ ১০ (৩)] টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ১৬ এ উল্লেখিত টেকসই উনয়ন ও সর্বস্তরে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে তথ্যে প্রবেশগম্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ : বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ :
টিআইবিসহ বিভিন্ন মহলের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারকে চিন্তা, বিবেক ও বাক্-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ২০০৯ সালে বাংলাদেশে “তথ্য অধিকার আইন” পাশ করা হয়। বাংলাদেশের তথ্য অধিকার আইন অনেক শক্তিশালী হলেও বাস্তবায়ন পর্যায়ে এর বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তথ্যের চাহিদা সৃষ্টিতে উপযুক্ত পরিবেশ ও প্রতিবেশের অভাব এবং তথ্য গোপন রাখার সংস্কৃতির কারণে আইনটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা সংশ্লিষ্টদের অনেকের কাছেই আইনটির তাৎপর্য সঠিকভাবে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০২১ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে তথ্য চেয়ে সর্বমোট আবেদনের সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ৫৪১টি, প্রতিবছর গড়ে ১০ হাজার ৭৯৫টি। ২০০৯-২০২১ সময়কালে আবেদনের প্রেক্ষিতে মোট তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৫টি। তথ্য কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের সংখ্যা ৪ হাজার ৩২৭টি। ২০২১ এর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করা হয়েছে ৭ হাজার ২৫৩টি।
তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহারকে জনগণের কাছে সহজ করে তুলতে একটি আরটিআই ট্র্যাকিং নামে ওয়েবসাইট ও অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করেছে তথ্য কমিশন। যদিও এই ওয়েবসাইট উদ্বোধনের পর, তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইনটির ব্যাপক প্রয়োগ পরিলক্ষিত হয়েছে, তা বলা যাবে না। আরটিআই ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, অনলাইনে তথ্য চেয়ে করা ২৬ হাজার আবেদনের বিপরীতে মাত্র ১২০টি আবেদনের জবাব দেওয়া হয়েছে এবং প্রক্রিয়াধীন আছে ১৩৭ টি। এছাড়া ২৬ হাজার ৬২৮টি আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তথ্য অধিকার আইন: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
বাংলাদেশে প্রচলিত সকল আইনই সরকার জনসাধারণকে নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করে থাকে। তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ হলো একমাত্র আইন, যেখানে জনগন এই আইনটি সরকার বা কর্তৃপক্ষের জবাব দিহির অন্যতম একটি হাতিয়ার হিসাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। তবে, বাস্তবতা হচ্ছে- শুরু থেকেই সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক ধরনের গোপনীয়তার চর্চা বিদ্যমান। করোনা অতিমারিকালে এই গোপনীয়তাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দুর্নীতির মহোৎসবের ঘটনা সর্বজনবিদিত। একইভাবে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হলেও, অনেক ক্ষেত্রে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা তথ্য প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেন না বা দিতে চান না।
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর প্রেক্ষিতে ঞযব ঙভভরপরধষ ঝবপৎবঃং অপঃ, ১৯২৩ এর কার্যকরতা সংকুচিত হয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। বৃটিশ আমলের আইনে তথ্যের গোপনীয়তা ভঙ্গের দায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তির বিধানের কথা বলা ছিলো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮- একই বিষয় যদি কেউ ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে সংঘটিত করে থাকে, সেক্ষেত্রে ১৪ বছরের কারাদন্ডের কথা বলা হয়েছে। যদিও 'জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) ইন, ২০১১' এ বলা হয়েছে, “জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সঠিক তথ্য প্রকাশের কারণে তথ্য প্রকাশকারীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারী বা দেওয়ানী মামলা, বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, কোন বিভাগীয় মামলা দায়ের করা যাইবে না।" কিন্তু প্রশাসনিক কাঠামোতে এখন পর্যন্ত এই আইনটির ব্যবহার কেউ করেছেন বলে শোনা যায়নি।
অধিকার আইন, ২০০৯- এর প্রাধান্যের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, “প্রচলিত অন্য কোনো আইনে তথ্য প্রদান সংক্রান্ত বিধানাবলী এই আইনের বিধানাবলী দ্বারা ক্ষুন্ন এবং তথ্য প্রদানে বাধা সংক্রান্ত বিধানাবলী এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সাংঘর্ষিক হইলে, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।" অথচ দুর্ভাগ্যের ব্যাপার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এ ঞযব ঙভভরপরধষ ঝবপৎবঃং অপঃ, ১৯২৩ এর সন্নিবেশ তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর প্রতি সরকারের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের শামিল।
যে সব প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্যে আবেদন করা যাবে :
ক্স সংবিধান অনুযায়ী সৃষ্ট সংস্থা। যেমন: নির্বাচন কমিশন:
ক্স সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ/ কার্যালয়। যেমন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ক্স সরকারের কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা কার্যালয়ের সাথে সংযুক্ত বা অধীনস্থ কোনো অধিদপ্তর, পরিদপ্তর বা দপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয়, জেলা কার্যালয় বা উপজেলা কার্যালয়। যেমন: জেলা/উপজেলা ভূমি অফিস, পাসপোর্ট, অফিস;
ক্স আইন অনুযায়ী গঠিত সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। যেমন: দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)
ক্স আধা -সরকারি, সরকারি বা বিদেশি সহায়তা গ্রহণকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। যেমন: বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি);
ক্স সরকারের পক্ষে বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। যেমন: বিভিন্ন সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান এবং
ক্স সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান সমূহ
তথ্য প্রকাশ ও প্রদানে বাধ্য নয় এমন কিছু তথ্যের উদাহরণ
ক্স দেশের নিরাপত্তা, অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সংক্রান্ত।
ক্স বাণিজ্যিক গোপনীয়তা, কপিরাইট বা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বিষয়ক
ক্স প্রচলিত আইনের প্রয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার বা অপরাধ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলে
ক্স জনগণের নিরাপত্তা বা বিচারাধীন মামলার সুষ্ঠু বিচারে বিঘ্ন হতে পারে;
ক্স কারো ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হতে পারে; এবং তদন্ত কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
তথ্য কমিশন
তথ্য কমিশন তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী গঠিত একটি সংবিধিবদ্ধ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এ কমিশনের দেওয়ানি এ আদালতের সমান ক্ষমতা রয়েছে। কমিশন নিম্নলিখিত বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ, অনুসন্ধান এবং তার নিষ্পত্তি করে থাকে;
ক্স দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ না করা হলে;
ক্স তথ্যের আপিল গ্রহণ না করলে/আবেদনের তথ্য না পেলে; নির্ধারিত সময়ে কর্তৃপক্ষের জবাব না পেলে;
ক্স তথ্য প্রকাশের জন্য অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ বা আদায় করলে; এবং
ক্স অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্য প্রদান করলে ।
আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২২: টিআইবির আহ্বান
নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার ও সরকারের গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা নিশ্চিতে তথ্যের অধিকার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। তাই আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২২ উপলক্ষে টিআইবির আহ্বান হচ্ছে-
ক্স কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিতে কার্যকর নীতি কৌশল জরুরি ভিত্তিতে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে;
ক্স তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯- এর পরিপন্থি বিদ্যমান আইনসমূহ সংস্কার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাতিল করতে হবে, যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৩২ ধারাসহ বাক-স্বাধীনতার পরিপন্থি অন্যান্য ধারা;
ক্স নতুন কোনো আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে তথ্য অধিকারের মূল চেতনার পরিপন্থি বা আইনটির কার্যকর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো ধারা যাতে সংযোজিত না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে;
ক্স তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯- এর আওতায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে;
ক্স তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিধান করতে হবে;
ক্স দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জ্ঞান ও তথ্য প্রদানে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা অর্জনে বিভিন্ন কারিগরি ও অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা জোর করতে হবে। সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তথ্য প্রদানে আগ্রহ সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে;
ক্স তথ্য অধিকার আইনের অধিকতর বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণমূলক কার্যক্রমে সুশীল সমাজ, জনগণ ও গণমাধ্যমের কার্যকর অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত কর হবে;
ক্স প্রাতিষ্ঠানিক স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের কার্যকরতা বৃদ্ধিতে তথ্য কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে;
ক্স তথ্য প্রকাশ ও প্রচারে প্রতিষ্ঠানসমূহের দক্ষতা ও সংগতি পর্যবেক্ষণের জন্য তথ্য কমিশনের ক্ষমতা ও তদারকি বাড়াতে হবে। তদারকি কার্যক্রমে নাগ সমাজ ও জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে;
ক্স সর্বোপরি, তথ্য অধিকার নিশ্চিতে গণমাধ্যমকে অধিকতর কার্যকর ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহ, সুশীল সমাজ, তথ্য কমিশন সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যকর সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
তথ্য উৎস্য: দিবস উপলক্ষ্যে প্রকাশিত টিআইবি'র ধারণা অর্জ
লেখকঃ সভাপতি, সহাক, সাতক্ষীরা।