
জাতীয় ডেস্ক:
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে শহীদদের স্মরণে বিএনপির আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশে জাতীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকারের সঙ্গে রাজপথেই জনগণের ফয়সালা হবে। সারা দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে রাজপথে নেমেছে। সবার একটাই দাবি, এ অনির্বাচিত সরকারের পদত্যাগ।
তিনি বলেন, জাতির অস্তিত্ব আজ গভীর সংকটে। বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলেছে বর্তমান সরকার। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলেই, সরকারের মন্ত্রীরা নিয়মিত দায়িত্বহীন কথাবার্তা বলছেন। তাদেরকে বলি, জনগণের চোখের ভাষা পড়ুন; তারা এখন আর আপনাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা এদেশের শাসন ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক সরকার চায়।
সরকারের পরিবর্তনের লক্ষ্যে দেশের সবল গণতন্ত্রকামী মানুষ এবং সমমনা সকল রাজনৈতিক দলকে বিএনপির সঙ্গে একসাথে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফরিুল ইসলাম আলমগীর।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, যখনই তারা ক্ষমতায় এসেছে, সেটা বেআইনিভাবে, জবরদখলভাবে বা যেভাবে আসুক, তখনই দেশের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। উদাহরণ টানতে গিয়ে ফখরুল বলেন, ১৯৭২ সালে এবং ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল, ঠিক তখন একই কায়দায় আওয়ামী লীগ এদেশের সর্বনাশ করেছে।
তারা দেশের সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করেছে। এদেশের মানুষ যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য যুদ্ধ করেছিল, এ সরকার সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভাবধারা ভেঙে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল। সে সময় তাদের দুঃশাসনের কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। সেই সময়ও তারা এ দেশকে একটা নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল, এখনও করছে, ভবিষ্যতেও করবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।