নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেছেন, জাতি একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বাংলাদেশ শুধু নয় সারা পৃথিবী আজ করোনার করাল গ্রাসে দিশেহারা। আমরা ধর্য্যধারণ করে এ পরিস্তিতির মোকাবেলা করছি। আমাদের মনস্ততাত্তিক সাহস বাড়াতে হচ্ছে। আমাদের সরকার- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যে যে ভাবে পারছে এ দুঃসময়ে মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সাতক্ষীরা সংগঠন যে কাজ করছে। এ কাজকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমার জানা নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন আর কোথাও এধরনের কাজ করছে কি না। নিশ্চয় এ কাজ প্রশাংসার দাবিদার।
শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরার সহযোগিতায় ৪৫০ পরিবারের মধ্যে “ঘরে বসে আহার” কর্মসূচির পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্পকিত খবর
- কালিগঞ্জে ফটোকপির হিড়িক
- লকডাউন না মেনে কালিগঞ্জে জ্বলছে ইটের পাঁজা, চলছে জুয়ার আসর
- ইউরোপে এক লাখ সহ করোনায় মৃত ১ লাখ ৬০ হাজার
- আইনের কঠোর প্রয়োগ ও ডাক্তার-নার্সদের সুরক্ষা চাই
তিনি আরো বলেন, এ কাজ সারাদেশের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। ঢাকা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে একটি ছোট্ট শহর। এশহরে যে চমৎকার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছোট্ট পরিসরে হলেও তারা যে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে। তা সরাসরি না দেখলে বোঝা যাবে না। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন। তারা ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দিচ্ছে। যাতে কেউ অভুক্ত না থাকে এবং মানুষ খাবারের জন্য ঘর থেকে না বের হয়। আমার মনে হয় মহামারিটি হয়ত ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। সুতরাং আর কিছুদিন ধর্য্যধারণ করুন। ঘরে থাকুন। আপনারা ঘর থেকে খাবারের জন্য বের হবে না। তাহলে আপনার পরিবার, সমাজ ও দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আপনাদের খাবার বাড়ি পৌছে যাবে। অনেকে আছে যারা খাবার চাইতে পারে না। তাদের কাছে এরা খাবার পৌছে দিচ্ছে। সমাজের বিত্তবানদের এদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন। তাহলে এই কার্যক্রম তারা আরো এগিয়ে নিতে পারবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, আবু সাঈদ, টগর, ডেইলি সাতক্ষীরার বার্তা সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, রওশন জাহান রূপা, মাসুদ রানা মনা, কামরুল ইসলাম, ফাহিম, প্রমুখ।
উল্লেখ্য: ১৪ এপ্রিল বুধবার থেকে প্রতিদিন দুপুরে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৪৫০ পরিবারের বাড়িতে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতায় এ খাবার পৌছে দেওয়া হচ্ছে।