শেখ এনামুল বাসার টিটো, ডুমুরিয়া (খুলনা) থেকে:
ডুমুরিয়ায় স¤প্রতি নিন্ম চাপের প্রবল বৃষ্টিতে প্লাবিত এলাকা পরিষদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। গত সোমবার ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-আমীন উপজেলার আটলিয়া, মাগুরাঘোনা, খর্নিয়া, রঘুনাথপুর,ধামালিয়া, রংপুর সহ ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতি গ্রস্থ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের প্রয়জনীয় ব্যবস্থা সহ ক্ষতি গ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণের আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো আব্দুর রহমান, মনির হোসেন, ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর মাওলানা মুখতার হুসাইন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মুফতি আব্দুল কাইয়‚ম জমাদার, আটলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন, সাংবাদিক এম রুহুল আমিন, মঈন উদ্দীন, ইউপি সদস্য মাওঃ মতিউর রহমান, বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান মোড়ল প্রমুখ।
৫নং আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দীন বলেন, আটলিয়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যো ১, ২,৩,৯ নং ওয়ার্ডে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ও অন্যান্য ওয়ার্ড গুলো আংশিক ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। মৎস্য ঘের, আমন ধান ক্ষেত,শব্জিক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শুধুমাত্র মৎস্য ঘেরেই ক্ষতি হয়েছে ৫০ কোটির বেশি। আমরা ক্ষতি গ্রস্থ পরিবারের এবং কৃষিখাত ও মৎস্য ঘেরের ক্ষতির পরিমান নিরপন শেষে সঠিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ বলতে পারবো।
মালতিয়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাওলানা মতিউর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার ঘেরভেড়ি,ধান, মাছ সব ভেসে গেছে। শোভনা, ভান্ডার পাড়া, সাহস,শরাফপুর, গুঠুদিয়া, রুদাঘরা, রঘুনাথপুর ইউনিয়নের অবস্থা খুবই খারাপ।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনসাদ ইবনে আমীন বলেন, উপজেলায় ১২হাজার হেক্টর জমিতে আমন ও ৪৩ হাজার হেক্টর জমিতে শব্জি চাষ রয়েছে। অধিকাংশ অতি বর্ষনে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। যদি দ্রুত বৃষ্টি বন্ধ না হয় এবং দ্রুত পানি সরে না যায় তবে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। আমরা ক্ষতির পরিমান নিরুপন কারার চেষ্টা করছি। ক্ষতি গ্রস্থদের প‚র্নবাসন করা হবে।
দিনমজুর সামাদ গাজী বলেন, বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করছি। ভ্যান চালক মাজেদ সরদার বলেন, অতি বৃষ্টির করণে ভ্যান গাড়ি চালানো যায়নি। আয় রোজগার না থাকায় বাজার করতে পারিনি। অতি কষ্টে বৃষ্টি কালিন দিনগুলো পার করতে হয়েছে। চাল মিস্ত্রী বক্কার খাঁ বলেন,বর্ষার কারণে কাজকর্ম বন্ধ। কেউ কাজে ডাকছেনা। সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
উলেখ্য,ডুমুরিয়ায় স¤প্রতি নিন্ম চাপের প্রভাবে মুশলধারায় বৃষ্টিতে ১৪টি ইউনিয়নের আমন ধান, সবজি ক্ষেত,মৎস্য ঘের, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তা ঘাট,বড়িঘর তলিয়ে গেছে। নিন্ম ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।