শেখ এনামুল বাসার টিটো,ডুমুরিয়া(খুলনা) থেকে:
ডুমুরিয়ার কৃষ্ণনগর এম বি বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকের ১৭ পৃষ্ঠার দূর্নীতির ফিরিস্থির তদন্তে সত্যতা পেয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা। তদন্ত রির্পোটটি এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। বিদ্যালয় ও উপজেলা প্রশাসন সুত্রে এ তথ্য প্রকাশ।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, কৃষ্ণনগর এম বি বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনিয়ম এবং দ‚র্নীতির অভিযোগে পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ওই প্রতিষ্ঠানে যান একটি কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মোঃ মনির হোসেন।
এসময়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য তিনি শোনেন এবং প্রত্যেকের লিখিত বক্তব্য গ্রহন করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, বেশ কিছু অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে লিখিত বক্তব্য এখনও যাচাই বাছাই চলছে। যে কারণে তদন্ত রির্পোটটি এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। কৃষ্ণনগর এমবিবিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের নানা অনিয়ম ও দ‚র্নীতির প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার পক্ষে গত ৫ সেপ্টেম্বর মনিতোষ মন্ডল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তার প্রেক্ষিতে এ তদন্ত হচ্ছে। উলেখ্য, সহকারী প্রধান শিক্ষক বিচরণ হালদার ১ যুগ ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ এক যুগে অনেক শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে কমপক্ষে এক কোটি টাকার উৎকোচ গ্রহন করেছেন। সর্বশেষ ভ‚য়া চিঠির মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণীর ৩ টি পদে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠলে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন।
এ সময়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, এলাকাবাসী এবং শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি সভা হয়। ওই সভায় শিক্ষক বিচরণ হালদার ঘুষের ৯ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানে দিতে অঙ্গিকার করেন। সকলের উপস্থিতিতে গত ২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর একটি চেক এবং একটি লিখিত অঙ্গিকারনামা প্রদান করেন শিক্ষক বিচরণ হালদার। তবে ওই টাকা এখনও প্রতিষ্ঠানে তিনি দেননি।
এছাড়া বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কথা বলে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করলেও কোন উন্নয়নমুলক কাজ না করেই সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন