স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল আলমকে সাতক্ষীরা-৩ (কালীগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় অষ্টম দিনের মতো প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় কালিগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে আশাশুনির কাপসন্ডা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন। কালিগঞ্জ বাজার ব্রিজের উপর ঘন্টাব্যাপী এই সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজারো নেতাকর্মী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেন। সমাবেশ শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কালিগঞ্জের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বক্তারা অভিযোগ করেন, “অধ্যাপক ডা. শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি’র রাজনীতির সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত এবং এলাকাবাসীর প্রিয় মুখ। তার জনপ্রিয়তা, ত্যাগ ও দলের প্রতি নিবেদন অনন্য। এমন একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে উপেক্ষা করা তৃণমূল কর্মীদের মনে গভীর ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি করেছে।”তারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে বলেন, “আমরা চাই, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে অধ্যাপক ডা. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন প্রদান করা হোক। নইলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা তা মেনে নেবে না।”সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোবিন্দ ঠাকুর, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। পরে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল কালিগঞ্জ বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এদিকে সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল দশটায় আশাশুনি উপজেলার কাপসন্ডা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। খাজরা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী জুলি, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, খাজরা ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন, ছাত্রনেতা জাকির হোসেন সান্টু, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহ জামাল হোসেন, সাত নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, বাদশা আলমগীর কেনা, হাবিবুর রহমান বাবু, রমজান খা সুজন সরদার প্রমুখ। বক্তারা আরো বলেন, ডা. শহিদুল আলম কোনো ব্যক্তি-নির্ভর রাজনীতির নাম নয়, তিনি মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক। তিনি গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের অর্থে চিকিৎসা দিয়েছেন, বিনিময়ে কিছু চাননি। এমন প্রার্থীকে বঞ্চিত করে দল জনবিচ্ছিন্ন হতে পারে না।”