
ইয়ারব হোসেন: ডাঃ হাফিজ উল্যাহর ভুল চিকিৎসায় এক রোগী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, সাতক্ষীরার তালার ধানদিয়া এলাকার আফছার গাজীর পুত্র মুনছুর গাজী গত ইং-২৮/১১/২০১৯ তারিখে ট্রলি গাড়ির সড়ক দূর্ঘটনায় ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাঃ হাফিজ উল্যাহর মালিকানাধীন ক্লিনিকে (সাতক্ষীরা ট্রমা এন্ড অর্থোপেডিকস্ সেন্টার ) ভর্তি করান এবং অপারেশন জন্য চুক্তিতে ৩০ হাজার টাকা নেন ডাঃ হাফিজ উল্যাহ।
অপারেশন করার সময় ডাঃ হাফিজ উল্যাহ রোগীর বুকে জোরে চাপ দিলে সে বুকে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয় এবং পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয় রোগীর বুকের পাজরের হাড় ভেঙ্গে গেছে। এ ঘটনার পর রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হয়ে যায়।
এরপর রোগীকে জরুরীভাবে সিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
সেই থেকে প্রায় ৯ দিন যাবত রোগী অচেতন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এরই মধ্যে সিবি হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ বাবদ দুই লক্ষ টাকা বিল করা হয়েছে ।
উক্ত খরচ বহন করা হত দরিদ্র মুনছুর গাজীর পরিবারের পক্ষে কোন ভাবে সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি মুনছুর গাজীর পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানায়।
এ বিষয়ে ডাঃ হাফিজ উল্যাহর মালিকানাধীন ক্লিনিকে (সাতক্ষীরা ট্রমা এন্ড অর্থোপেডিকস্ সেন্টার ) গিয়ে সাংবাদিকরা অপারেশনের বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। এমনকি সাংবাদিকদের উপর ক্ষেপে গিয়ে হাফিজ উল্যাহ বলেন, আমি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই,’আমি আপনার চাকরি করি না, আপনার কাজ আপনি করেন, আমার বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই লেখেন আমি এইসবের পরোয়া করি না এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দেন।
তিনি আরও বলেন, আমি এখন রোগী দেখব আপনারা রুমের বাইরে যান। ঘটনার সময় তার সাথে বহিরাগত বেশ কয়েকজন দালালদের দেখা যায়। দালালদের মধ্যে লিটন নামের একজনের পরিচয় জানতে চাইলে ডাঃ হাফিজ উল্যাহ সাংবাদিকদের জানায়, উনি আমার সহযোগী হিসেবে আমার সাথে ডাক্তারী করেন। সরকারি হাসপাতালের দায়িত্ব পালনের সময়ে নিজস্ব ক্লিনিকে রুগী দেখার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন ডাঃ হাফিজ উল্যাহ ।
এদিকে ডাঃ হাফিজ উল্যাহর বিরুদ্ধে মুনছুর আলীর ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে তার ভাইরা মোঃ হাশেম আলী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা থানায় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) একটি অভিযোগ দিয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, ডাঃ হাফিজ উল্যাহর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। দালালদের মাধ্যমে রোগী সংগ্রহ করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অপকর্ম করে টাকার পাহাড় জমিয়েছে এই চিকিৎসক নামের কসাই। এসব অবৈধ উপায়ে উপার্জিত আয়ে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছে এই চিকৎিসক।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের কপি নিচে: