
আহাদুর রহমান (জনি): সাতক্ষীরা জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীরসহ কতিপয় প্রকৌশলী কর্মকর্তা/কর্মচারী দুর্নীতিতে রাঘব বোয়াল। টেন্ডারের কাজে বিভিন্ন অনিয়ম হলেও সাতক্ষীরা অফিসে অনিয়ম দুর্নীতির কবলে কতিপয় দ‚র্বল ঠিকাদার দাপ্তরিক প্রকৌশলীদের তটস্থ হয়ে আছেন। সাতনদীর অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে ‘সাতক্ষীরা এলজিইডি’র হরিলুট-পর্ব ১ ও ২’ শীর্ষক দুটি পর্ব প্রকাশিত হয়েছে। আজ থাকছে তৃতীয় পর্ব।
সাতক্ষীরা প্রকৌশল অধিদপ্তরের এসব নানা অনিয়ম প্রকাশ করলে দ‚র্বল ঠিকাদারদের বিভিন্ন বাস্তবায়নাধীন ও চলমান প্রকল্পের কার্যাদেশ বাতিল আদেশ সহ তাদের ঠিকাদারী লাইসেন্স বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র সরকার, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মানিক হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী ইয়াকুব আলী, মাষ্টার রোল খাতের কর্মচারী ল্যাবরেটরী সহকারী আজহারুল টেন্ডার কাজে অনিয়মের ম‚ল হোতা।
নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র সরকার সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ে প্রায় ০২ বছর প‚র্বে তদবীর করে বদলী হয়ে সাতক্ষীরায় আসেন। তারপর থেকেই পর্যায়ক্রমে টেন্ডার কাজে অনিয়ম দুর্নীতি দেখা দেয়। টেন্ডার দাখিলকৃত ঠিকাদারদের মধ্যে লটারীতে প্রাপ্ত ঠিকাদারের বিভিন্ন কাগজপত্র অসুবিধাসহ কাজের প‚র্ব অভিজ্ঞতা সনদপত্রে ডুপ্লিমেসি থাকার দরুন সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মানিক হোসেন ও সহকারী প্রকৌশলী ইয়াকুব আলী এবং মাষ্টার রোল খাতের ল্যাবরেটরী সহকারী আজহারুল এদের মাধ্যমে উক্ত ঠিকাদারদের নিকট হইতে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে থাকেন। এছাড়াও, সাধারন এগ্রিমেন্ট/ কার্যাদেশে চুক্তিম‚ল্যের উপর ০০.২৫% হইতে ০০.৫০% এবং দ‚র্বল ঠিকাদারদের নিকট হইতে ১% হইতে ২% পর্যন্ত মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে থাকেন। এই পার্সেন্টের টাকা নির্বাহী প্রকৌশলী, সিনিয়ির সহকারী প্রকৌশলী,সহকারী প্রকৌশলী এবং মাষ্টাররোল খাতের ল্যাবরেটরী সহকারী আজহারুল ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে থাকেন। এসব কিছুর ম‚লে আছেন নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র সরকার।
বৈধ ঠিকাদারগণ বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলীসহ তার দপ্তরে কর্মরত প্রকৌশলী কর্মকর্তাগনের কাছে বৈধ কাজে বঞ্চিত হয় থাকে। যার ফলে এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রতিবছরই করতে হয়। ভোগান্তি বাড়ে সাধারণ জনগনের। এ-বিষয়ে বঞ্চিত ঠিকাদারগণ বর্তমান বর্নিত প্রকৌশলীদের সাতক্ষীরা হতে অনতিবিলম্বে অন্যত্র বদলীর দাবী জানিয়েছেন।