সাতনদী অনলাইন ডেস্ক: যথাসময়ে কোভিড-১৯ টিকা পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, কেননা ভারত সব সময় তাদের প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেয়। নয়াদিল্লির এক কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে ইউএনবি।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দিল্লির ওই কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া প্রধানের দেওয়া বিবৃতি তারা দেখেছে। সেরামের এমন খবরে প্রতিবেশী বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, কারণ ভারত তার প্রতিবেশীদের সব সময় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করে, এবারও ভিন্ন কিছু হবে না বলেও জানায় ওই সূত্র।
এদিকে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীও এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘কোভিড টিকার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও’র বিবৃতি দেখেছি। অংশীদার বাংলাদেশে উদ্বেগের কিছু নেই: আমরা সব সময় প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করি। এবারও করব। ভিন্ন কিছু হবে না।’ টুইট পোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশকে টিকা পাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন তিনি।
এর আগে ১৭ ডিসেম্বর এক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, ভারতে টিকা উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গেই তা দেয়া হবে বাংলাদেশকে।
সম্প্রতি সৃষ্টি হওয়া যে কোনো ভল বোঝাবুঝি তারা দূর করবেন জানিয়ে টুইট করেছেন সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সিইও আদার পুনাওয়ালা। সেখানে উল্লেখ করে বলেছেন, আমি দুটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই; যেহেতু জনগণের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সব দেশে টিকা রপ্তানির অনুমতি আছে এবং ভারত বায়োটেক বিষয়ে সাম্প্রতিক ভুল বোঝাবুঝি পরিষ্কার করতে একটি যৌথ গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে বলেও জানান ওই টুইট বার্তায়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারত থেকে যথসময়েই টিকা পাবে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা কোভিড-১৯ টিকা রপ্তানি করবে’ সেরাম ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক দেয়া এমন বিবৃতিতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
ইতোমধ্যে জানুয়ারির শেষ দিকে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পেতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।