নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ওলিউর রহমানের বিরুদ্ধে। সে পলাশপোলের কাশেম আলীর ছেলে। অভিযোগ আছে রুটি রুজির জন্য বৈধ পন্থা বাদ দিয়ে এখন টাউট-বাটপারিই তার মূল পেশা।
ওলিউর পলাশপোলের বাসিন্দা। প্রায় সময় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে। কয়েকটি সংস্থা থেকেও ব্যবসায়ের নামে টাকা ঋণ নেয়। এর মধ্যে মধুমল্লারডাঙ্গীতে অবস্থিত একতা কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি’র কাছ থেকেও ১লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলো। বেশ কয়েক কিস্তি পরিশোধের পর আর কিস্তি পরিশোধ করেনা সে। এরপর বিভিন্ন সময় মানবিক কারণে সমবায় সমিতিটি তাকে ঋণ পরিশোধ সহজ করার জন্য দীর্ঘ সময় দেয়। তার সুযোগ নিয়ে ওলিউর ঋণ পরিশোধ না করে টাল বাহানা করতে থাকে। এ নিয়ে বসাবসিও কম হয়নি।
এ নিয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার গ্রাম আদালতে ৭ডিসেম্বর ২০২০ ইং তারিখে একটি অভিযোগ করা হয়। পৌরসভার গ্রাম আদালতে প্রতিবেদন রিপোর্টে বলা হয় ওলিউর রহমান ওলি মধুমল্লারডাঙ্গী’র একতা কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি সদস্য হিসেবে এক লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। কিন্তু কিস্তি পরিশোধের সময় টালবাহানা করতে থাকে। এখনও ওলি’র কাছে সংস্থাটির পাওনা সাড়ে ৫২ হাজার টাকা। তবে পৌরসভার গ্রাম আদালত ২০ ডিসেম্বর’২০ইং তারিখে হিসাব-নিকাশ শেষে শুনানীতে ৪০৮৫০টাকা সংস্থাটির পাওনা বলে সীকৃতি দেয়। গত বছরের ২১ মার্চে ওলিউর রহমান পৌরসভার গ্রাম আদালতে সমস্ত টাকা এককালীন পরিশোধ করবে বলে লিখীত ভাবে অঙ্গীকার করে। কিন্তু তারপরও সেই টাকা পরিশোধ করে নাই। এক পর্যায়ে পৌরসভার গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় সংস্থাটিকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
এদিকে ওলিউর ব্যক্তিটি নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। জানা যায় ওলিউরের দুইটি বিয়ে। তবে মজার বিষয় হলো দুটি স্ত্রীর সাথেই সংসার করছে ওলি। প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে পলাশপোলের পালতিপুকুর এলাকায় নিজ বাড়ীতে। সেখানে তার এক কন্যা সন্তান আছে। অপরদিকে ছোট বউকে নিয়ে পলাশপোলের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া বাসায়। সেখানেও তার এক কন্যা সন্তান আছে। উভয় এলকার বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুই স্ত্রী ও তার মধ্যকার স্বামী ভাগের বিবাদ নিয়েই বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকে ওলিউর। আর টাউট-বাটপারি করেই সময় পার করে। এভাবে বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যাক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিতে টাকা আত্মসাৎ করাই তার মূল পেশা। তাইতো হর হামেশাই নাকি বন্ধু মহলে বলে ‘যে যা পারিস করে দেখা’।