
ডেস্ক রিপোর্ট: সোমবার সন্ধ্যা থেকেই একটি খবর টক অব দ্য সাতক্ষীরায় পরিনত হয়েছে। খবরের ভেতরের খবর জানতে পাঠক সক্রিয়। জনপ্রতিনিধিকে নগ্ন ভিডিও করে ব্লাক মেইলিং।
জানা যায়, সাতক্ষীরা শহরের শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ রাশেদুজ্জামান রাশির বাড়ির ভাড়াটিয়া জয়যাত্রা টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আকাশ ইসলাম আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছে আকাশ নগ্ন ভিডিও’র ঘটনায় সাতক্ষীরার দুইজন প্রভাবশালী সাংবাদিকের জড়িত থাকার নাম প্রকাশ করে। অথচ সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিতে প্রভাবশালী সাংবাদিকের একজনের নাম প্রকাশ করলেও অজ্ঞাত কারনে অন্যজনের নাম গোপন রাখে। এ নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
পৃথক দুটি ঘটনা দেখিয়ে দুই জনপ্রতিনিধিকে নগ্ন করে নারী দিয়ে ভিডিও ধারণের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে।
একটি মামলায় আসামী হলেন, জয়যাত্রা টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আকাশ ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক, সাবেক বহিষ্কৃত পৌর যুবলীগ নেতা ও সাতক্ষীরা জেলা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার শাখার সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহিন, মনি ও সম্প্রতি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত দীপ।
অপর মামলার আসামী হলেন, আকাশ ও সাদিক।
আদালত সূত্র জানান, সাতক্ষীরা থানায় পর্ণোগ্রাফি আইনে দায়ের করা ২৮ নং মামলার বাদী একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি দায়েরকৃত মামলার এজাহারে বলেন আসামীরা তাকে এমটি রুমে ঢুকিয়ে নগ্ন করে নারী দিয়ে ভিডিও করে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হয়।
অপর মামলার বাদীও একজন জনপ্রতিনিধি। এই মামলার ঘটনায়ও একইভাবে ঐ জনপ্রতিনিধিকে নগ্ন করে ভিডিও করার অভিযোগ করা হয়েছে এবং ঐ ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে থেকে ৪ লাখ টাকা আদায় করা হয়। এই মামলার আসামী আকাশ ও সাদিক। এই মামলায় আকাশ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, উচ্চ বিত্ত, প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে কতিপয় সুন্দরী নারীদের জালে জড়িয়ে স্পাই ক্যামেরা (কলম, চশমা, চুলের ক্লিপে ব্যবহৃত ভিডিও ক্যামেরা) ব্যবহার করে নগ্ন ভিডিও’র মাধ্যমে ব্লাক মেইলিং করে অর্থ আদায় করতো চক্রটি। এসব ঘটনায় সাতক্ষীরার একাধিক টেলিভিশন সাংবাদিকের ক্যামেরাম্যান জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ নিয়ে সাতক্ষীরা জুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।