
নিজস্ব প্রতিবেদক: সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের প্রাচীর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মরিচা ধরা রড ও পাথরের মত শক্ত ডাস্ট সিমেন্ট দিয়ে রবিবারে প্রাচীর নির্মাণকালে স্থানীয় জনতার তোপে পড়ে মিস্ত্রীসহ শ্রমিকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা হযরত আলী ও সাইফুল ইসলাম জানান, আমাদের নিজস্ব গোডাউনে দেড় বছর আগের কিছু মরিচা ধরা রড ও ২৮ বস্তা ডাস্ট সিমেন্ট পড়েছিল যা চলমান স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রাচীর নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। ডাস্ট সিমেন্ট গুলো হাঁতুড়ি দিয়ে ভেঙে ব্যবহার করছিল। বিষয়টি জানা জানি হলে স্থানীয় লোকজন কাজে বাধা দেয় এবং এক পর্যায়ে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং অত্র ক্লিনিকের দায়িত্বরত ডাক্তার তপন কুমার বিশ্বাস ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। বিষয়টি তদন্ত করলে হেড মিস্ত্রি নজরুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার রাসেল হোসেন আমাকে যেভাবে বলেছেন আমি সেভাবেই কাজ করেছি এবং তিনি নতুন সিমেন্ট এর সাথে ডাস্ট বা নষ্ট সিমেন্ট মিশ্রিত করে কাজ করার বিষয়টি স্বীকার করেন। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে ২৮ বস্তা সিমেন্ট এর মধ্যে ২৭ বস্তা সিমেন্ট দিয়ে ইতোমধ্যে কাজ সম্পন্ন করেছে। যাহা প্রাচীর পার্শ্ববর্তী মানুষজনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং এক বস্তা সিমেন্ট পাশের পানিতে ফেলে দিলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস শাহাবাজ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার রাসেল হোসেন মুঠোফোনে জানান, খোয়া যাতে কম লাগে তাই আমরা খোয়ার সাথে এ ডাস্ট সিমেন্ট গুলো ব্যবহার করেছি। এতে সমস্যা হবে না।
উক্ত ক্লিনিকের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি শোনা মাত্র ক্লিনিকে ছুঁটে আসি। তাৎক্ষণিক উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানালে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। জনস্বার্থে এ অনিয়ম আমরা প্রশ্রয় দিতে পারিনা। পরে ডাঃ তপন কুমার ও কিছু লোকজন সরে যাওয়ার পর ধূর্ত হেড মিস্ত্রি নজরুল ইসলাম আবারো কাজ শুরু করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন ও মেম্বার মোখলেছুর রহমানসহ জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠায় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হেড মিস্ত্রি নজরুলসহ তার শ্রমিক নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। বিষয়টির তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।