নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারের উপর দিয়ে প্রবাহিত বেতনা নদীর পাড়ে সরকারি জায়গা জবর দখলের মহোৎসব চলছে। ওয়ারিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন ঘোষের পুত্র ঝাউডাঙ্গা জগন্নাথদেব মন্দিরের সাধারন সম্পাদক বিষু ঘোষ বহুতল ভবনের নির্মানের পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের জরিপে ব্যক্তি মালিকানাধী জমি খাস খতিয়ানে চলে যায়। পরবর্তীতে ওয়ারিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন ঘোষের পুত্র বিষু ঘোষ, জগন্নাথদেব মন্দিরের জায়গা দাবী করে মামলা করে এবং নিজে খাস জমি জবরদখল পূর্বক বহুতল ঘর নির্মাণের পায়তারা চালাতে থাকে। প্রাপ্ত তথ্যে আরও জানা যায়, ওয়ারিয়া মৌজার ১০০৯ খতিয়ানের ৪৪/৪৫ দাগের প্রায় ৪ শতক জমিতে পূর্বপরিকল্পিত পন্থায় ঘর নির্মান করছে বিষু ঘোষ। গত শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় বাজারের সচেতন মহল বাঁধা দিলে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং বিষয়টি ঝাউডাঙ্গা তহশিল অফিস কর্তপক্ষকে মৌখিকভাবে জানালে তহশিলদার বিষু ঘোষকে নোটিশ করে। কিন্তু (১৮ এপ্রিল) দেখা যায় তিনি আবারও ক্ষমতার দাপটে ঘর নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই কোন রাঘব বোয়ালের ছত্রছায়ায় সরকারি জমি জবরদখল পূর্বক বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তা জানতে চায় এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতনমহল।
এ ব্যাপারে ঝাউডাঙ্গা বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক জাহিদ হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমিটা তাদের পূর্বপুরুষের সম্পত্তি, কিন্তু ১৯৯০ সালে খাস খতিয়ানে চলে যায়। এ জমি নিয়ে মন্দিরের জায়গা দাবী করে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা চলছে।
এ বিষয়ে ওয়ারিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন ঘোষের পুত্র বিষুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ১৯২৭ সাল থেকে এই জমি ভোগদখল করে আসছি, আমাদের দলিল আছে। তবে বর্তমান রেকর্ডে তাদের নাম নেই বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে ঝাউডাঙ্গা তহশিলদার জানান, সরকারি জমিতে ঘর নির্মান করছে বিধায় কাজ বন্ধ করার জন্য আমরা তাকে নোটিশ দিয়েছি। নোঠিশ পাওয়ার পরও যদি তিনি ঘর নির্মাণ কাজ করেন তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।