নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েই হামলা ও মামলার শিকার হয়েছে নিরীহ তিন যুবক। এরা হলো সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের নুর মোহাম্মদের পুত্র আরিফুল ইসলাম আরিফ, আজিবর রহমানের পুত্র সাদ্দাম হোসেন ও শাহাজানের পুত্র জব্বার ।
রোববার (৫ জানুয়ারী) রাতে আরিফকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে ঝাউডাঙ্গা বাজারে চাঁদ ঘোষের পুত্র সাধন ঘোষের ট্রাক ধৌতালয় সেন্টারে গাঁজার আসর চলছিল। এ ঘটনা দেখে প্রতিবাদ করে সাদ্দাম হোসেন। পরে তাকে সাধন ঘোষ মারপিট করে। পরে সেখানে উপস্থিত হয়ে আরিফ ও জব্বার প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মারপিট করা হয়। এসব ঘটনা দেখে স্থানীয় জনগণ উত্তেজিত হয়ে সাধন ঘোষকে গণধোলাই দিলে সে সামান্য আহত হয়। পরবর্তীতে সাধন ঘোষ নাটক সাজিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এ ঘটনার জেরে সাধন ঘোষ বাদী হয়ে আরিফ, সাদ্দাম ও জব্বারসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের নামে সাতক্ষীরা থানায় একটি মিথ্যা মামলা করে।
স্থানীয়রা জানান, সাধন ঘোষের দোকানে প্রতিদিন তিন বার মাদকের আসর বসে। বিভিন্ন এলাকা থেকে চিহ্নিত মাদকসেবীরা এতে যোগ দেয়। ঝাউডাঙ্গা গ্রামের মৃত ফজর আলীর পুত্র আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে এসব মাদকের ব্যবসা চলে আসছে। এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে ফাঁসানো হয় মিথ্যা মামলায়। এমনকি তাদের উপর বিভিন্ন কায়দায় নির্যাতন ও হামলা চালানো হয়।
মাদক ব্যবসায়ী আশরাফুলের নামে এক ডজন মাদকের মামলা রয়েছে। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না মাদক ব্যবসা। এর ফলে এলাকায় মাদকের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অপরদিকে, সাধন ঘোষের মিথ্যা মামলায় আরিফ গ্রেফতার হওয়ায় জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে ঝাউডাঙ্গা বাজার। এলাকার মানুষের মুখে একটাই প্রশ্ন মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টারদাতা কে? কেনই বা এদের থামানো যাচ্ছে না।
সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। যারাই দোষী হবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ কোন নিরীহ মানুষকে হয়রানী করবে না এটাও জানান তিনি।