
নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়েক মিনিটের মধ্যেই চোখের সামনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেল। তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্নও সেই সঙ্গে পুড়ে গেল। ‘আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম’ এমনভাবে আহাজারি করছিলেন ফেরি করে বেড়ানো ঝাল মুড়ি বিক্রেতা আলী হোসেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার বসত বাড়ীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আলী হোসেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় লোকজন ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায়, রাতের খাবার শেষে পরিবারের সকলে ঘুমিয়ে যায়। হঠাৎ রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ঘরে লাগা আগুনের তাপে ঘুম ভেঙে যায়। সে সময় আগুন জ্বলতে দেখেই চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকতে থাকেন। পরে খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। খবর পেয়ে স্থানীয় প্রতিবেশীরা ও এক দল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে পরিবারটির। ঝাল মুড়ি বিক্রেতা আলী হোসেনের মা, স্ত্রী, তিন কন্যা সন্তান নিয়ে তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলেন সুখের সংসার। সম্ভবত চুলার আগুন থেকে সেই বসত বাড়িসহ সমিতি থেকে ঋণ নেওয়া নগদ ৩০,০০০টাকা, সন্তানদের নতুন বছরের নতুন বই, ঘরের আসবাপত্র, বাক্সে থাকা পোশাক, ড্রামে থাকা চাউল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোনো কিছুতেই সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবার। পুরো পরিবার এক আয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিল। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে আলী হোসেনের বাড়িতে যান ১১নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। তিনি পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং কিছু আর্থিক সহায়তা করার আশ্বাস দেন। ঘটনাস্থলে কথা হয় আলী হোসেন সাথে তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে সম্ভবত চুলার আগুন থেকে তার বসত বাড়ীতে আগুন লাগে। আগুন লেগে সব শেষ হয়ে গেছে তাদের। পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। পরিবারের মানবিক সাহায্য সহযোগিতার জন্য এলাকার বৃত্তবান, জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেক করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি।