নিজস্ব প্রতিবেদক: এক জামাত নেতার বাঁধার মুখে ৪টি পরিবার অবরুদ্ধ হতে যাচেছ। বিএনপি নেতার সহযোগিতায় ৪টি পরিবারকে জিন্মি করা হচেছ বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারের ইউনিয়ান পরিবার কল্যান কেন্দ্রেরের পশ্চিম পাশে । ৪টি পরিবার অবরুদ্ধ থেকে যাতায়াতের পথ পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারের আনারুল ইসালাম,কাশেম আলি,বাহাদুর ও আনার হোসেন জানান, তারা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ঝাউডাঙ্গা বাজারের পরিবার কল্যান কেন্দ্রের পশ্চিম পাশে জমি ক্রয় করে বসবাস করে আসছে। পরিবার কল্যান কেন্দ্রের কিছু সরকারি যায়গা প্রতিবেশি জামাত নেতা হজরত আলির জমির পাশ দিয়ে ৪টি পরিবারের সদস্যরা যাতায়াত করে আসছি। সম্প্রতি পরিবার কল্যান কেন্দ্রের পাঁচিল নির্মানের জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। একই এলকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম ও, নাশকতা মামলার আসামি হজরত আলি ও তার ছেলে মিবির ক্যাডার মনজুরুল ইসলাম তাদের সহযোগিতায় যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। পাঁচিল দিলে ৪টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। তাদের সন্তানরা স্কুলে যেতে পারবে না। তারা অবরুদ্ধ হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে। যাতায়াতের একমাত্র পথটি বন্ধ করে দিলে তারা অসহায় হয়ে পড়বে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হন্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান ,আওয়ামীলীগ নেতা রোমজান আলি বিশ্বাস,অমর ঘোষ,আব্দুল খালেক, আব্দুর রশিদ, বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক জাহিদ হোসেন, সুবির ঘোষ,তারকনাথ পাল,রফিকুল ইসলাম জানান,যাতায়াতের পথ পাঁচিল দিলে দিয়ে বন্ধ করা হলে ৪টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। তাদের একমাত্র যাতায়ােেতর পথ দেওয়ার জন্য সকলে মিলে চেষ্টা করা হচেছ। সরাকারি জমির পাশ দিয়ে সাধারন মানুষ চালাচল করলে দুই জনের সমস্য হচেছ। কোন মানুষের পথ বন্ধ করা যায় না। ৪টি পরিবারের বিকল্প রাস্তা নেই ।
পরিবার কল্যান কেন্দ্রেরে উপসহকারি ডা: তপন কুমার জানান,পাঁচিলের পাশ দিয়ে রাস্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচেছ। যাতে করে ৪টি পরিবারের সদস্যরা অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি পেতে পারে।