নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝাউডাঙ্গা বে-পরোয়া চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ আব্দুল খালেক। ঝাউডাঙ্গা বাজরের সরকারি জমি দখলসহ বহু অপকর্মের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। সদর থানায় দুইবার মুচলেকা দিয়েও আবারও তার বিরুদ্ধে ঈগলের কর্মীদের ফোন করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার বেলা ৩টায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর ২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবির ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী জনসভা হয় ঝাউডাঙ্গায়। ওই সভায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে যোগদান করেন ২নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুর রশিদ। সভা থেকে ফেরার পর সন্ধায় আব্দুর রশিদকে ফোনে হুমকি দিয়ে আব্দুল খালেক বলে, ‘তুই সভায় গেছিস ক্যান, তোর কাল সকালে ব্যবস্থা করা হবে।’ এ ঘটনার পর থেকে আব্দুর রশিদ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ইতোপূর্বেও গত ২৫ ডিসেম্বর ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে সংখ্যালঘু নেতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমরেন্দ্র নাথ ঘোষ, যুগ্ম-সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবলু ও সাংবাদিক ইয়ারব সহ ৫ জনের ওপর হামলা করে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক। সে ঘটনায় পৃথক পৃথক দুটি মুচলেকা সাতক্ষীরা সদর থানায় জমা দিলেও কোন পরিবর্তন হয়নি তার।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি পদ ব্যবহার করে আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে খালেক। ঝাউডাঙ্গা বাজারে নতুন কোন দোকান ঘর করতে গেলেই তাকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা সেলামি দিতে হয়। পুরো ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন জুড়ে জমি দখলের জন্য ডাক পড়ে তার। কাগজ থাকুক বা নাই থাকুক জমি দখল করেই দিবে সে। ঝাউডাঙ্গার সংখ্যালঘু সুনীল ঘোষের জমি গায়ের জোরে দখল করে নিয়েছে যুবলীগ নেতা আব্দুল খালেক। এছাড়াও বাজারের সরকারি খাস জমিও তার করায়ত্বে আছে। এ সকল অভিযোগের বিষয়ে তার সাথে মোবাইলে কল দিলেও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।