
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগ সভাপতি সাবেক সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহম্মেদের সাথে জেলা নাগরিক অধিকার উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দের এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলা আ’লীগের সভাপতির মুনজিতপুরস্থ বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের লক্ষ্যে ২৮ দফা দাবি উপস্থাপন করেন নাগরিক অধিকার উন্নয়ন কমিটির জেলা সভাপতি জিএম নূর ইসলাম। দাবিগুলি হলো- সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বেডে রুপান্তরিত করা এবং জনগনের দূর্ভোগ লাগভে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা সেবা নিশ্চিত করা। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্রুত জরুরী বিভাগ চালু করে রোগী ভর্তির ব্যবস্থা করা, জলবদ্ধতা, নিরসন কল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের পাশাপাশি সকল নদ-নদী ও খালগুলি পুনঃ খননের ব্যবস্থা। ভোমরা পোর্টের সৌন্দর্য বর্ধন করার জন্য জিরো পয়েন্টে গেট নির্মান করা। সাতক্ষীরা কাষ্টম কমিশন অফিস স্থাপনের ব্যবস্থা করা। যশোর, নাভারন থেকে মুন্সিগঞ্জ এবং ভোমরা থেকে খুলনা সড়ক ৪ লেন রাস্তা সহ জাতীয় সড়কে উন্নত করা। সাতক্ষীরা রেঞ্জে সুন্দরবনকে পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান চিহিৃত করা একই সাথে পর্যটকদের জন্য মোটেল নিশ্চিত করা। সাতক্ষীরা পৌর সভায় সুপেয় পানির ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, বাইপাস সড়ক খড়িবিলা থেকে বাকাল চেকপোষ্ট পর্যন্ত নতুন আর একটি বাইপাস সড়ক নির্মানের ব্যবস্থা করা। সাতক্ষীরা ঘোলা রাস্তাটি সম্প্রসারনের পাশাপাশি সংস্কার করা। সাতক্ষীরা সকল রাস্তাঘাট সংস্কারের ব্যবস্থা, শহরের নিউমার্কেট মোড়, খুলনা রোড মোড় এবং পাকাপুলের মোড়কে আধুনিক ডিজাইনে সৌন্দর্য বর্ধন করা। পৌর সভা ডাষ্টবিন গুলো নির্দিষ্ট স্থানে নির্ধারন এবং ইনিসিলেরেটর মেশিনের ব্যবস্থা করা। ইজিবাইক, ভ্যান, রিক্সার, জন্য ভাড়া নির্ধারন করা, বাইপাস সড়কের সাথে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সংযোগ সড়কের ব্যবস্থা করা। শিশুদের বিনোদনের জন্য একটি শিশু পার্ক স্থাপন। একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মানের ব্যবস্থা। খুলনা থেকে চুকনগর ভায়া সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দর পর্যন্ত রেললাইন তৈরী করা। সাতক্ষীরা একটি কৃষি কলেজ ও একটি বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপন করা। প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবস্থা করা। বিনের পোতা থেকে আশাশুনি সড়ক রামচন্দ্রপুর ও দহকুলা হয়ে বাঁকাল চেকপোষ্ট পর্যন্ত বাইপাস সড়ক স্থাপন। সাতক্ষীরা একটি এয়ারপোর্ট নির্মানের ব্যবস্থা করা। সাতক্ষীরা পৌর সভার মধ্যে বাইপাস সড়ক সংলগ্ন একটি সরকারি কবর স্থানের নির্মান করা। সাতক্ষীরা জেলাকে প্রথম শ্রেণীর জেলার উন্নীত করতে হবে। জেলা আ’লীগ সভাপতি মুনসুর আহমেদ দাবি গুলি মনোযোগ সহকারে শোনেন। এসময় তিনি বলেন নাগরিক দাবিগুলি অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। এগুলি বাস্তবায়ন হলে সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নে অমুল পরিবর্তন ঘটবে। তিনি নাগরিক কমিটি দাবিগুলো পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে একই সাথে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাবার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন জেলার উন্নয়নের স্বার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এছাড়া নাগরিক কমিটিকে আরো নতুন নতুন সমস্যা চিহৃীত করে সেগুলো আলোচনার আহ্বান করেন। সভায় নাগরিক কমিটির উন্নয়ন সংলাপে আহ্বান জানালে তিনি সেটি বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে একটি সুন্দর সংলাপ বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নাগরিকদের দাবি আপনাদের মাধ্যমে একদিন বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল, কাউন্সিলর জ্যোস্না আরা, কোষাধ্যক্ষ সিনিয়ার সাংবাদিক মোহাম্মাদ আলী সুজন, যুগ্ম মহিলা সম্পাদিকা রেবেকা সুলতানা, যুগ্ম সম্পাদিকা কাউন্সিলর অনিমা রানী, ক্রীড়া সম্পাদক মোছা করিম, প্রচার সম্পাদক আশরাফুল করিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মাদ আবু সায়ীদ, মোহাম্মাদ আলী সিদ্দীকি, মাষ্টার রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক এসএম আবুল কালাম, অধ্যক্ষ রেজাউল করিম, মো: শাহারুল ইসলাম, প্রভাশক কামরুজ্জামান, মোঃ নাছির উদ্দীন সুলতান।