আহাদুর রহমান: “দেশ এগিয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। নিন্দুকেরা বলেছিল পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হবেনা। কিন্তু এখন সেই পদ্মা সেতু এপার থেকে ওপার দৃশ্যমান।” জেলা আওয়ামী আয়োজিত বিজয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তিতে ৩০ডিসেম্বর গণতন্ত্রের বিজয় দিবস ২০২০ উপলক্ষে বিজয় সমাবেশ ও আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ৩০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বিজয় সমাবেশ পূর্বক একটি বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে বিজয় সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় নজরুল ইসলাম আরও বলেন,“সোনার চামচ মুখে দিয়ে তিনি দেশের সরকার প্রধান হননি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আন্দোলন, জেল-জুলুমের শিকার হয়ে তিনি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি বিশ্বের সেরা নেতাদের একজন। যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। যার আওতায় দেশের প্রায় এক কোটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। ”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মোবাইল ফোনযোগে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ। তিনি সকলকে একতাবদ্ধ থেকে এগিয়ে যাওয়া প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য আল-ফেরদাউস আলফা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহীদ উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মনসুর আহমেদ, আসাদুজ্জামান অসলে, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাসানুল ইসলা, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলামসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশীদ।