সাতনদী ডেস্ক: করোনা ভাইরাস তথা কোভিড-১৯ নামক বৈশি^ক মহামারী সারা বিশ^কে নাড়িয়ে দিয়েছে। সংক্রামক এ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশে^ অসংখ্য মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। যদিও ইতোমধ্যে এ মহামারী থেকে বাঁচার জন্য টিকা আবিস্কৃত হয়েছে তথাপি করোনার প্রকোপ এখনো অব্যহত আছে।আমরা করোনার প্রথম ধাপ মোকাবেলা পরবর্তী দ্বিতীয় ধাপে অবস্থান করছি। প্রথম ধাপে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও দেশবাসীর সচেতনতার কারনে আল্লাহর রহমতে করোনা মোকাবেলা করা অনেক সহজ হয়েছিল। সারা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন শুরু হওয়ার এক বছর পর ২য় ধাপে সংক্রমন পরিস্থিতি নতুন মাত্রায় বেড়ে গেছে। আক্রান্তের সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যাও। তাই করোনার প্রকোপ থেকে বেঁচে থাকার জন্য তথা করোনা নির্মূলে আমাদের সবাইকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইনে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, আপনি সচেতন হলে আপনার পরিবার সুরক্ষিত থাকবে। সব পরিবার যদি সুরক্ষিত থাকে তাহলে দেশ সুরক্ষিত থাকবে। তাই আসুন আমরা সকলে সচেতন হয়ে মাস্ক পরার অভ্যাস করি, বার বার সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে নিজেকে সুরিক্ষত রাখার পাশাপাশি করোনামুক্ত বাংলাদেশ গড়ি।
“মাক্স পরার অভ্যাস, করোনা মুক্ত বাংলাদেশ”- এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস ২য় ধাপ মোকাবেলায় দেশ ব্যাপী বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে সমগ্র জেলা ব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ: সাতক্ষীরা শহর থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি ফিরোজ হোসেন জানায়, রোববার ( ২১ মার্চ) সকাল ১০ টায় শহরের খুলনার রোড মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরন ও গাড়িতে গাড়িতে স্টিকার লাগানো হয়। একই সাথে বিতরন করা হয় সচেতনতামূলক লিফলেট। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের নের্তৃত্বে অনুষ্ঠিত এই ক্যাম্পেইনে সাড়া দেয় সর্বস্তরের মানুষ। এ সময় তাদের প্রত্যেকের কাছে মাস্ক তুলে দেয়া হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানানো হয়। এ সময় ক্যাম্পেইনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি ডা. আবুল কালাম বাবলা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী,সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. সুব্রত কুমার ঘোষ এবং বাস মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
জেলার প্রত্যেকটি থানায়ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরুপ কর্মসূচী পালন করা হয়। দৈনিক সাতনদীর বিভিন্ন উপজেলার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য ও ছবির ভিত্তিতে উপজেলা সমুহের সেসব খবর এখানে তুলে ধরা হলো।
কালিগঞ্জ থানা পুলিশের সচেতনতামুলক প্রচারনা ও র্যালী: কালিগঞ্জ থেকে আমাদের প্রতিনিধিহাফিজুর রহমান জানায়,মাক্স পরার অভ্যাস, করোনা মুক্ত বাংলাদেশ এই শ্লোগান কে সামনে নিয়ে কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাস ২য় ধাপ মোকাবেলায় দেশ ব্যাপী বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগের অংশ হিসাবে কালিগঞ্জ থানার আয়োজনে কালিগঞ্জ উপজেলা জুড়ে জন সচেতনা মুলক প্রচারনা ও র্যালী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার বেলা ১১টার সময় কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেনের নেতৃত্বে থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), উপ পরিদর্শক, সহকারী উপ পরিদর্শক ও সদস্যদের নিয়ে থানা চত্ত্বর হতে একটি র্যালী বাহির হয়। র্যালীটি উপজেলার বৃহত্তম নাজিমগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিন করে থানা রোড হয়ে ফুলতলা বাজার গোলচত্ত্বর, কলেজ রোড, কাঁকশিয়ালী সেতু পাড় হয়ে কালিগঞ্জ বাসটার্মিনাল এবং উত্তর কালিগঞ্জ বাজার হাসপাতাল রোড প্রদক্ষিণ এবং জনসাধারণ কে সচেতন করতে সমাবেশ ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। নো মাস্ক নো সার্ভিস এবং কোভিট ১৯ করোনা ঠেকাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য সবাইকে আহবান জানানো হয়। উপজেলায় জন গুরুত্বপূর্ন এলাকায় বিভিন্ন জন সংগম এলাকায় সমাবেশে ওসি দেলোয়ার হুসেন তার বক্তব্যে বলেন, সারা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশে কোভিট ১৯ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন শুরু হওয়ায় এক বছর পর ২য় ধাপে সংক্রমন পরিস্থিতি নতুন মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় উদ্যোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তমান করোনা সংক্রমন উর্দ্ধমুখী। আক্রান্তের সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু, তার পরেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে কেউ চলাফেরা করছে না। মাস্ক ছাড়াই অফিস, আদালত, বাজার, গণপরিবহনে অবাধে চলাফেরা করছে মানুষ। সামাজিক দুরত্বের বালাই নেই। তাই এখন থেকে নো মাস্ক নো সার্ভিস, প্রত্যেক কে স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে বাড়ির বাইরে আস এবং চলাফেরার আহবান জানান। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চললে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
করোনার ২য় ধাপ মোকাবিলায় আবারও মাঠে কলারোয়া থানা পুলিশ: কলারোয়া থেকে কামরুল হাসান জানায়,’মাস্ক পরার অভ্যাস, কোভিট মুক্ত বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে কোভিট ১৯ এর দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় বিশেষ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আবারও মাঠে নেমেছে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ। রোববার (২১ মার্চ) সকালে কলারোয়া পৌরসদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ওই কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় মাস্ক বিহীন পথচারীকে মাস্ক ও জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এঁর পক্ষে কলারোয়া থানা পুলিশ।
এ উপলক্ষে কলারোয়া থানা পুলিশ আয়োজিত জনসচেতনতামূলক র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জেল্লাল হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান স,ম মোরশেদ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকরবিউল আলম মল্লিক রবি, পৌর কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান তুহিনসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
এদিকে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুধিজনদের নিয়ে থানা পুলিশ মাস্ক বিতরণ ও জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
দেবহাটায় মাস্ক প্রদান ও সচেতনতা বিষয়ক পথসভা: দেবহাটা থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদকলিটন ঘোষ বাপি জানায়, দেবহাটায় কোভিড -১৯ (করোনা)এর ২য় ধাপ মোকাবেলায় মাস্ক পরার অভ্যাস ও কোভিডমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে বিশেষ উদ্ধুদ্ধকরণ কর্মসুচির অংশ হিসাবে সচেতনা বিষয়ক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০ টায় দেবহাটা খানা পুলিশের আয়োজনে অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে মাস্ক পরার অভ্যাস ও কোভিডমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে বিশেষ উদ্ধুদ্ধকরণ কর্মসুচি একটি র্যালী থানা চত্বর হতে উপজেলা পরিষদ চত্বর পর্যন্ত প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে দেবহাটা বাজারে এসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, আমরা কোভিড- ১৯থর প্রথম ধাপ মোকাবেলা পরবর্তী দ্বিতীয় ধাপে অব¯’ান করছি। প্রথম ধাপে সারা বিশ্বে বহু মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। আপনারা সকলে সচেতন হয়েছিলেন বলে হয়তো সৃষ্টি কর্তার কৃপায় করোনা মোকাবেলা করা অনেক সহজ হয়েছিল। কোভিড -১৯ (করোনা) নির্মূল করতে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। আপনি সচেতন হলে আপনার পরিবার সুরক্ষিত থাকবে। সব পরিবার যদি সুরক্ষিত থাকে তাহলে পাড়া,মহল্লা তথা গোটা একালার মানুষ সুরক্ষিত থাকবে। তাই আসুন আমরা সকলে সচেতন হয়ে মাস্ক পরার অভ্যাস করি, বার বার সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে নিজেকে সুরিক্ষত রাখার পাশাপাশি কোভিটমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি।
এ সময় তিনি আরো বলেন আপনারা জনসমাগম এড়িয়ে চলেন করোনা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ বাস্তবায়নে সহায়ক ভুমিকা রাখেন। আপনারা মাস্ক পরিধানসহ নিজেরা সচেতন না হলে পুলিশ কিš‘ কঠোর হবে।
অনুষ্ঠানে দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নয়ন চৌধুরীর সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) ফরিদ আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আলি মোর্তজা মোঃ আনারুল হক, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রব লিটু। এসময় দেবহাটা থানা পুলিশের সকল কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপ¯ি’ত ছিলেন। পরে দেবহাটা থানার পক্ষে উপজেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ¯’ানে মাস্ক বিতরন করেন ওসি বিপ্লব কুমার সাহা।
তালায় বিশেষ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি পালিত: তালা থেকে আমাদের বিশেষ প্রতিবেদক নজরুল ইসলাম জানায়,‘মাস্ক পরার অভ্যাস কোভিট মুক্ত বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানে সাতক্ষীরায় কোভিট ১৯ এর দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় বিশেষ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে সতক্ষীরার তালায়।
রোববার (২১ মার্চ) সকালে সাতক্ষীরায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে ও তালা থানা পুলিশের বাস্তবায়নে উপ-শহরের তিনরাস্তা মোড়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় মাস্ক বিহীন পথচারিকে মাস্ক ও জনসচেতনতা মুলক লিফলেট বিতরণ করেন থানার পুলিশ সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন তালা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মেহেদী রাসেল,পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ,এসআই পিযুষ কান্তি ঘোষ,এসআই কাউছার,এএসআই মনিরুজ্জামান,এএসআই আশরাফুল,এএস আই শামীম হোসেন,এএসআই সুব্রত কুমার দাস,এএসআই জাকির হোসেন, এএসআই ওমর ফারুকসহ সকল পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
অনুরুপভাবেপাটকেলঘাটা থানার বাস্তবায়নে অফিসার ইনচার্জ ওয়াহিদ মোশেদ এর সার্বিক তত্বাবধানে পথচারিকে মাস্ক ও জনসচেতনতা মুলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
আশাশুনিতে বিশেষ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত: আমাদের আশাশুনি প্রতিবেদকসচ্চিদানন্দদে জানায়, আশাশুনিতে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় বিশেষ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ উপলক্ষে কোভিড-১৯ এর সচেতনতা বিষয়ক বিভিন্ন প্লাকার্ড সম্বলিত থানা চত্বর থেকে একটি র্যালী বের করা হয়। আশাশুনি থানা পুলিশের আয়োজনে র্যালীটি আশাশুনি সদর বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষন শেষে পূনরায় থানা চত্বরে এসে শেষ হয়। থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবিরের সার্বিক তত্বাবধানে ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে র্যালীতে এসআই সেলিম হোসেন, মামুন হোসেন, আজিজুল ইসলাম, ফকির জুয়েল রানা, জাহাঙ্গীর হোসেন, শফিউল্লাহ মোল্যা ও নবাব আলী, এএসআই রুবেল সরদারসহ থানার অফিসার ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচী চলাকালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতার অংশ হিসেবে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়। এছাড়া সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া, মুখে মাক্স ব্যবহার করা ও হাত মেলানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করা হয়।